শনিবার (০৪ মে) সেমস গ্লোবাল আয়োজিত তিন দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীর শেষ দিন সকাল থেকেই আইসিসিবির ২ ও ৩ নম্বর হলে দর্শনার্থীদের ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। প্রদর্শনীটির পাশাপাশি ‘৪র্থ আন্তর্জাতিক হেলথ ট্যুরিজম এক্সপো-২০১৯’ এবং ‘৫ম বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল ল্যাব এক্সপো-২০১৯’ একই সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রদর্শনীটি মূলত দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, দর্শনার্থী, ও বিনিয়োগকারীদের জন্য ওয়ান স্টপ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করছে বলেই বৃষ্টি উপেক্ষা করে দর্শনার্থীরা আসছে বলে জানিয়েছে আয়োজকরা।
প্রদর্শনীটিতে স্বাগতিক বাংলাদেশসহ ভারত, থাইল্যান্ড, চীন, কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রিয়া, জার্মানি, বেলজিয়াম, ফিনল্যান্ড, স্পেন, ডেনমার্ক, পোল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, তাইওয়ান, চীন, তুরস্ক, প্রভৃতি দেশের প্রায় ১৫০টি প্রতিষ্ঠানের ২৮০টি স্টল নিয়ে অংশগ্রহণ করেছে।
স্বাস্থ্য খাতের বৃহৎ এ প্রদর্শনীটি ছিল মেডিকেল, সার্জিক্যাল, হেলথকেয়ার, ক্লিনিক্যাল ল্যাব ইকুইপমেন্ট, ডেন্টাল, ডায়াগনস্টিক ও ফার্মাসিউটিক্যাল ইকুইপমেন্টের বিশাল সমাহার। স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারীর প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্য সেবাগুলোতে তাদের পরিসেবা ও সর্বশেষ উন্নয়নগুলো প্রদর্শন করেছে এবং হেলথ টুরিজম ও সার্ভিস উপকরণের জন্যও ছিল বিশেষ আয়োজন।
প্রদর্শনীটিতে আগত দর্শনার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চিকিৎসা পদ্ধতিসহ ব্যবহৃত বিভিন্ন উপকরণ সম্পর্কে জানার সচক্ষে জানার সুযোগ কম পাওয়া যায়। তাছাড়া দেশ ও দেশের বাইরের চিকিৎসা সুবিধা যাচাই-বাচাই করার প্ল্যাটফর্ম খুব কম পাওয়া যায়। আবার দেশের বাইরে থেকে আগত হাসপাতালগুলোর নামকরা চিকিৎসকদের সঙ্গে সরাসরি দেখা করার সুযোগও রয়েছে এখানে। এসব কারণে সাধারণ দর্শনার্থীদের ভীড় রয়েছে। পাশাপাশি দেশে চিকিৎসাসেবায় ব্যাপক উন্নয়ন ও চাহিদার ফলে ব্যবসায়িক প্রতিনিধিরাও আসছে ১২তম মেডিটেক্স বাংলাদেশ ২০১৯-এ।
রাজধানীর উত্তরা থেকে আগত দম্পতি রায়হান ও মিথিলা প্রদর্শনীটিতে এসেছিলো। হেলথ ট্যুরিজ্যমের সঙ্গে পরিচিত হতে। বাংলানিউজকে তারা জানায়, এ এক্সপোর কথা শুনেছি কিন্তু এর আগে আসা হয়। হেলথ ট্যুরিজম আসলে কি সেটাই জানতে এখানে এসেছিলাম। দেখলাম যে, চিকিৎসার কাজে আমার পরিবারকে নিয়ে দুই বছরে আমার একবার করে দেশের বাইরে বিশেষ করে ভারতে যেতে হয়। এখন এখানে এসে যে সব সুযোগ সুবিধার অফার দেখলাম হেলথ ট্যুরিজমের মাধ্যমে তাতে আমি আসলেই মুগ্ধ। আয়োজনটা আসলেই আমাদের জন্য উপকারী হয়েছে।
এদিকে ব্যবসায়িক কাজে এসেছেন একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মকর্তা রাফিদ নেওয়াজ। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা আগের চেয়ে অনেক উন্নত হয়েছে। আর রোগীদেরও চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা বেড়েছে। তারাও অনেক জিনিসপত্রের চাহিদা দেয়। এজন্য সহজে এবং তুলনা করে ভালো চিকিৎসা সংক্রান্ত যন্ত্রপাতি আমাদের এসব প্রদর্শনী থেকেই পাওয়া যায়।
সামগ্রিক বিষয়ে সেমস গ্লোবালের হেড অব মার্কেটিং নঈম শরীফ বাংলানিউজকে জানান, গত বৃহস্পতিবার (০২ মে) প্রদর্শনীটি শুরু হয়। সেদিন উদ্বোধনের দিন হওয়ায় সেভাবে রেজিস্ট্রেশন হয়নি। তারপরও প্রায় ৩ হাজার দর্শনার্থী ছিল। শুক্রবার সর্বোচ্চ ৭ হাজার দর্শনার্থী ছিল। আজ ঘূর্ণিঝড় ফণী’র প্রভাবে বৃষ্টিপাতের ফলে আমরা ভেবেছিলাম দর্শনার্থী কম থাকবে। কিন্তু দুপুর পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার দর্শনার্থী প্রদর্শনীতে বৃষ্টি উপেক্ষা করে এসেছে। এক্ষেত্রে আমরা সফল বা সাড়া ফেলতে পেরেছি। তাছাড়া বিষয়টিও মানুষের প্রয়োজনীয় হওয়ায় সবাই আসে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৭ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৯
এমএএম/এসএইচ