গত তিনদিন ধরে জেলার তাপমাত্রা কখনো ৩৫ আবার কখনো ৩৪ ডিগ্রিতে ওঠানামা করছে। গত বৃহস্পতিবারও (২৩ মে) তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সরেজমিনে ভোলা সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালে রোগীদের উপচে পড়া ভিড়। ১০০ শয্যার বিপরীতে রোগী রয়েছে তিন শতাধিক। বিশেষ করে ডায়রিয়া, মেডিসিন, শিশু ও গাইনি ওয়ার্ডে রোগীদের চাপ বেশি। একদিকে অসহনীয় গরম অন্যদিকে শয্যা সংকট থাকায় ঠিকমত চিকিৎসা নিতে গিয়ে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ৪৩ জন রোগী রয়েছে। সেখানে পর্যন্ত শয্যা না থাকায় মেঝেতে রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে । শুধু তাই নয় পর্যাপ্ত নার্স না থাকায় সঠিক সেবা মিলছে না বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
একই চিত্র পুরুষ ও মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডেও। ডায়রিয়া ও মেডিসিন ওয়ার্ডের দায়িত্বরত নার্সরা বাংলানিউজকে জানান, বেড সংকট থাকায় অতিরিক্ত বেডে কিছু সংখ্যক রোগী থাকালেও রোগীদের চাপ একটু বেশি। তাই অনেকেই মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সূত্র জানায়, ভোলা সদর হাসপাতালটি ১০০ শয্যার হলেও দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে চলছে ৫০ শয্যার জনবল দিয়ে। এখানে ২২টি ডাক্তারের বিপরীতে ডাক্তার রয়েছে মাত্র ১১ জন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হাসপাতালে ইসিজি মেশিন মাঝে মধ্যেই বিকল হয়ে যায়। এছাড়াও আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন দীর্ঘদিন ধরে বিকল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এতে রোগীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
ভোলার সিভিল সার্জন ডা. রথীন্দ্রনাথ মজুমদার বাংলানিউজকে বলেন, গরমের কারণে ডায়রিয়ার প্রকোপ একটু বেশি। শয্যা সংকট থাকায় আমরা অতিরিক্ত বেডের ব্যবস্থা করেছি। হাসপাতালের জন্য ডাক্তার চেয়ে একাধিকবার জানানো হলেও এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৯
এনটি