নির্দিষ্ট সময়ে এসব টিকা দিতে না পারলে শিশুদের মাম্পস০, জ্বর, র্যাশ ওঠা ও নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এসব টিকা দিতে না পারায় দুশ্চিন্তায় ভুগছেন শিশুর মা-বাবারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট পার্বতীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘদিন ধরে হাম-রুবেলা টিকার সরবরাহ নেই। এছাড়া চলতি মাসের শুরু থেকে শিশুদের জন্য মারাত্মক রোগের ৬ ধরনের রোগ প্রতিরোধক টিকার মধ্যে অন্যান্যগুলোরও সংকট দেখা দেয়।
নিয়ম অনুযায়ী এক থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের এই সময়ের মধ্যে একবার হাম-রুবেলা টিকা পাওয়ার কথা। টিকা সংকটের কারণে শহর-গ্রামাঞ্চল থেকে প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক অভিভাবক শিশুসন্তানকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এসে টিকা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
কমপ্লেক্সে আসা একাধিক শিশুর মা জানায়, নির্দিষ্ট সময়ে টিকা দিতে না পারলে শিশুর ক্ষতি হতে পারে।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়- টিকাদান কেন্দ্রের সামনে শিশুদের নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন কয়েকজন মা। তাদের টিকাদানের কার্ডে টিকা দেওয়ার নির্দিষ্ট সময় লেখা থাকলেও তা ইতোমধ্যে পার হয়ে গেছে অনেকের। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা।
নয় মাস বয়সী মেয়ে নাজিফা জাহানের জন্য হামের টিকা নিতে আসা ভবানীপুর ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক মোস্তাফা কামাল ও স্ত্রী সানজিদা খাতুন বাংলানিউজকে বলেন, মেয়েকে দীর্ঘদিন ধরে হামের টিকা দেওয়ার জন্য হাসপাতালে ধরনা দিচ্ছি। টিকার সরবরাহ নেই বলে অন্যদিনের মতো আজও আমাদের টিকা না নিয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে।
পার্বতীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট (সম্প্রসারিত টীকাদান কর্মসূচি/ইপিআই) আজহারুল আনাম ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সহকারী জাহাঙ্গীর আলম বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিদিন অসংখ্য মা-বাবা হাম-রুবেলার টিকা দেওয়ার জন্য শিশুদের নিয়ে এসে টিকা না পেয়ে হাসপাতাল থেকে ফিরে যাচ্ছেন। সরবরাহ না থাকায় টিকা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। জেলা সিভিল সার্জন অফিস এসব টিকার সরবরাহ দিয়ে থাকে।
পার্বতীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুল্লাহেল মাফি বাংলানিউজকে বলেন, শুধু পার্বতীপুরে নয়, বর্তমানে সারাদেশে কোথাও এসব টিকার সরবরাহ নেই। তবে শিগগির এ সংকট কেটে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। নির্দিষ্ট সময়ে শিশুকে (১-৫ বছর) হাম-রুবেলার টিকা প্রয়োগ করা না গেলে মামস, জ্বর ও নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায় বলে যোগ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৮০০ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১৯
এএটি