এদিকে জেলার দূর্গম বিলাইছড়ি, জুরাছড়ি, বরকল, বাঘাইছড়ি উপজেলায় ম্যালেরিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। ওইসব এলাকা ম্যালেরিয়ার জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ স্থান।
রাঙামাটি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানায়, বাঘাইছড়ি উপজেলার দুর্গম সাজেক ইউনিয়নের ভুইয়াছড়ি, উজেংছড়ি, ক্যজেইছড়ি, মিতিঙ্গাছড়ি, রুইলুই, মাচালংসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ ম্যালেরিয়া রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এর মধ্যে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন মাসে বাঘাইছড়ি উপজেলায় ম্যালেরিয়া রোগে আক্রান্ত হয়েছে ৩৯২জন। এছাড়া ২০১৬ সালে রাঙামাটিতে ম্যালেরিয়া রোগীর সংখ্যা ছিলো ৯ হাজার ৬২৪ জন। ২০১৭ সালে এ রোগের সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ৮ হাজার ২৮৭ জনে। আর সর্বশেষ ২০১৮ সালে ম্যালেরিয়া রোগীর সংখ্যা ছিলো ৩ হাজার ১৪ জন।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, সরকারি-বেসরকারি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সচেতনতামূক কর্মকাণ্ড পরিচালনার কারণে রাঙামাটিতে ম্যালেরিয়ার রোগীর সংখ্যা অনেক কমেছে। কমেছে মৃত্যুর হারও।
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্রাকের রাঙামাটি জেলা কর্মকর্তা সুনীল কান্তি কুন্ডু বাংলানিউজকে বলেন, ম্যালেরিয়া রোগে আক্রান্তদের ব্রাকের পক্ষ থেকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া পুরো জেলাজুড়ে ম্যালেরিয়া রোগীর একটি সংখ্যা জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে যোগ করেন তিনি।
রাঙামাটি সিভিল সার্জন ডা. শহীদ তালুকদার বাংলানিউজকে বলেন, রাঙামাটির সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোতে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বেশি দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে এসব রোগীদের চিহ্নিত করে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে।
সিভিল সার্জন আরও বলেন, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বাঘাইছড়ি, বরকল, বিলাইছড়ি ও জুড়াছড়ি উপজেলাকে ম্যালেরিয়ার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ওইসব এলাকায় ম্যালেরিয়া সর্ম্পকে সচেতনতা বৃদ্ধি ও আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবাই যৌথভাবে কাজ করছে ব্রাক ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের বিশেষ দল।
এছাড়া উপজেলায় স্বাস্থ্য বিভাগ এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে কর্ম-পরিকল্পনা গ্রহণ করে দ্রুত এই রোগের প্রকোপ কমানোর জন্য নিদের্শ দেওয়া হয়েছে বলে যোগ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০৬ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০১৯
এএটি