রাজধানীর হোটেল র্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যসেবা খাতে জিএসকে ও অংশীদারদের কার্যক্রমের সাফল্য উদযাপন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) প্রেসিডেন্ট ড. রুবানা হক।
গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন বাংলাদেশ লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রশান্ত পান্ডে বলেন, জিএসকে-তে আমাদের বিভিন্ন প্রোগ্রামের মাধ্যমে উন্নতমানের স্বাস্থ্যসেবা বৃদ্ধিতে অংশীদার হতে পেরে এবং বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে একত্রিত হয়ে কাজ করতে পেরে আমরা গর্বিত।
কমিউনিটি ক্লিনিক হেলথ সাপোর্ট ট্রাস্টি বোর্ডের প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. সাইদ মোদাসসের আলী বলেন, সিলেটের সুনামগঞ্জে প্রত্যন্ত হাওরে জিএসকে-কেয়ার কমিউনিটি হেলথ ওয়ার্কার্স উদ্যোগের মাধ্যমে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৩০০ দক্ষ স্বাস্থ্য উদ্যোক্তা সরকারের স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে কাজ করছেন এবং এর মাধ্যমে এসডিজি অর্জনে সরকারকে সহায়তা করছেন। স্বাস্থ্যসেবা সংস্থা হিসেবে জিএসকে সবসময় তাদের উন্নতমানের পণ্যের মাধ্যমে দেশের স্বাস্থ্য ও পুষ্টিতে অবদান রেখেছে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন বলেন, জিএসকে এবং এমঅ্যান্ডএস এর মতো ব্রিটিশ সংস্থাগুলো তাদের আকর্ষণীয় স্বাস্থ্য উন্নয়ন কর্মসূচির মাধ্যমে স্থানীয় কমিউনিটিতে উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে এসে দায়িত্ববান ও কল্যাণমূলক কোম্পানি হিসেবে পরিচয় দিয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা খাতকে শক্তিশালী করতে জিএসকের উদ্ভাবনী প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে তা সমর্থন করার এই প্রয়াস সত্যিই প্রশংসনীয়।
কেয়ার বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর জিয়া চৌধুরী বলেন, গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইনের সঙ্গে আমাদের অংশীদারিত্ব কমিউনিটি হেলথ ওয়ার্কার ইনিশিয়েটিভের মাধ্যমে শহুরে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে সমৃদ্ধ করে স্বাস্থ্যখাতে ইতিবাচক ফলাফল সৃষ্টিতে সহায়তা করেছে। মাতৃস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে হেলথ সিকিং বিহেভিয়ারস ও সেবা গ্রহণ উভয় ক্ষেত্রেই আমরা কিছু উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখতে পেয়েছি। আমরা এই উদ্যোগটির জন্য সত্যিই গর্বিত।
বিজিএমইএ-এর প্রেসিডেন্ট ড. রুবানা হক বলেন, বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে উন্নত করতে আমাদের বিভিন্ন ধরনের ব্যবসার গুরুত্বপূর্ণ অংশ শ্রমিকদের প্রতি নজর দিতে হবে। এই কাজটিই জিএসকে ও কেয়ার করছে, যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।
ব্যক্তিগত ও কমিউনিটি স্বাস্থ্য উন্নত করতে তৈরি পোশাক শিল্পের কর্মীদের সক্ষম করে তুলতে এইচএএলওডব্লিউ প্লাস কার্যক্রম চালু করা হয়। অনুষ্ঠানে এই কার্যক্রমের মিডলাইন মূল্যায়ন থেকে ফলাফল উপস্থাপন করা হয়। তাৎক্ষণিক চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করার সামর্থ্য বাড়াতে জিএসকে এবং কেয়ারের যৌথ উদ্যোগে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য জটিল মাতৃত্ব এবং প্রজনন স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে আসছে। সেবা ব্যবস্থাপনা এবং তথ্য যোগাযোগের মাধ্যমে ২০১৭ সাল থেকে ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে গেছে। দ্বিতীয় ধাপে, ঘরে ঘরে গিয়ে সেবা পৌঁছে দেওয়ার একটি কার্যক্রম চালু করা হয় এবং শরণার্থী ক্যাম্পে গর্ভবতী মায়েদের সহযোগিতা করার জন্য ২০ জনেরও বেশি ধাত্রীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৯
জেডএস