ভর্তি হওয়া রোগীরা ঢামেক হাসপাতালের পুরাতন ও নতুন ভবনে চিকিৎসা নিচ্ছে।
ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত একজনের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, হঠাৎ গায়ে জ্বর, বমি বমি ভাব, আর চোখে অসহনীয় ব্যথা অনুভব করায় উদ্বিগ্ন হয়ে আসেন ঢামেক হাসপাতালে।
ঢামেকের একটি সূত্র জানায়, হাসপাতালের নতুন ভবনের চার, পাঁচ, ছয়তলায় মেডিসিন বিভাগের ওয়ার্ডে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা চোখে পড়ার মতো। সর্বশেষ সোমবার (২২ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ১০টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৯৯ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিল ৩৪৯ জন। এ পর্যন্ত ঢামেকে ডেঙ্গুতে প্রাণ হারিয়েছে চারজন। নতুন ভবনের মতো একই চিত্র ঢামেকের পুরাতন ভবনের শিশু বিভাগে। সেখানেও অধিকাংশ শিশু ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। চিকিৎসকরা বলছেন, মূলত তিন থেকে আট বছরের শিশুরা বেশি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছে। দেড়-দুই বছরের শিশুরাও আসছে। কিন্তু তাদের সংখ্যা কম।
ঢামেক সূত্রে আরও জানা গেছে, এ বছরের জুলাই পর্যন্ত ঢামেকে ডেঙ্গু রোগে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ৬৪ জন। যার মধ্যে ৯১১ জন ভর্তি হয়েছে গত ২২ দিনে। জুলাইয়ের ২২ দিনে এক লাফে এ সংখ্যা ৯১১ তে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, এ বছরের জুলাইয়ের পরিস্থিতি অন্য যেকোনো বছরের তুলনায় ভয়াবহ।
এ বিষয়ে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন বলেন, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মোট ৩৪৯ জন ঢামেকে ভর্তি রয়েছে। প্রতিদিনই অসংখ্য রোগী হাসপাতালের আউটডোরে আসছে। আমরা যাদের অবস্থা খারাপ মনে করছি, তাদের ভর্তি রাখছি। জুলাইয়ে ডেঙ্গু রোগে অতিরিক্ত রোগী ভর্তি হয়েছে, যা হাসপাতালের জন্য একটি বাড়তি চাপ। তবে আমরা আমাদের মতো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৯
এজেডএস/আরবি/