ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

শেবাচিম হাসপাতালে কিডনির পাথর অপসারণ সম্ভব হবে অচিরেই

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৮ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৯
শেবাচিম হাসপাতালে কিডনির পাথর অপসারণ সম্ভব হবে অচিরেই ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বরিশাল: অচিরেই বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে রোগীর শরীরের কোনো অংশ না কেটে কিডনির পাথর অপসারণ করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের ইউরোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. শরীফ শাহ জামাল।

তিনি বলেন, রোগীদের পেট কাটার আর প্রয়োজন হবে না এবং কোনো ধরনের ভোগান্তি ছাড়াই অল্প সময়ের মধ্যে আরোগ্য লাভ করবেন রোগীরা।

সহযোগী অধ্যাপক ডা. শরীফ শাহ জামাল জানান, হাসপাতালের বর্তমান পরিচালক ডা. বাকির হোসেনের সহযোগীতায় পৃথক ইউরোলজি বিভাগ করা হয়েছে।

পাশাপাশি অপারেশনের জন্য অত্যাধুনিক মেশিন সরবরাহ করেছেন। যার মাধ্যমে রোগীর শরীরের কোনো অংশ না কেটেই কিডনির পাথর অপসারণ করা সম্ভব হবে।

এদিকে মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বিকেলে বরিশালে প্রথমবারের মতো নগরের বান্দরোডের একটি বেসরকারি হাসপাতালে রোগীর শরীরের কোনো অংশ না কেটে কিডনির পাথর অপসারণে সফল অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।

কিডনির পাথর অপসারণের অন্যতম আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি পিসিএনএলের মাধ্যমে অস্ত্রোপচারটি করেন ইউরোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. শরীফ শাহ জামাল।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার বাসিন্দা ঝন্টু হালদারের (৬৫) কিডনিতে পাথর ধরা পড়ে। যার কারণে তার পেটে ব্যথা হচ্ছিলো। এরপর তিনি চিকিৎসকদের স্মরণাপন্ন হলে মঙ্গলবার বিকেলে বেসরকারি ওই হাসপাতালটিতে পেট না কেটে তার অস্ত্রোপচার করা হয়।  

অস্ত্রোপচারের সময় সহযোগী অধ্যাপক ডা. শরীফ শাহ জামালের টিমে ছিলেন সহকারী অধ্যাপক ডা. প্রভাত চন্দ্র বিশ্বাস (পিসি বিশ্বাস), অ্যানেসথেসিয়ার চিকিৎসক এস এম জালাল উদ্দিন ও ডা. এষা।

ডা. শরীফ শাহজামাল বলেন, মাত্র ১৫/২০ মিনিটে কাটা-ছেঁড়া ছাড়া সম্পূর্ণ অত্যাধুনিক মেশিনের সাহায্যে এ অস্ত্রোপচারটি করা হয়েছে। সাধারণত এ ধরনের অস্ত্রোপচার করলে রোগী দুই/তিন দিনের মধ্যেই ভালো হয়ে যায়। বরিশালে প্রথম এ ধরনের অস্ত্রোপচার হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৩ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৯
এমএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।