এ নিয়ে গত চার দিনে ১৫ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। যাদের মধ্যে ১১ জন বর্তমানে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি থাকলেও বাকি চারজন চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
ডেঙ্গু আক্রান্তরা হলেন- পানছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্স শিলা দাশ (২৯), পাইসাচিং মারমা (১৮), ফজলুল হক (২২), রমেশ ত্রিপুরা (১৮), মায়াশ্রী চাকমা (২৯), স্বপ্না (২৫), সনজুক চাকমা (২০), বালাই ত্রিপুরা (১৭), ত্রিশা চাকমা (২৫), রেশমি চাকমা (১৮), নব দর্শী চাকমা (২৬), সৈয়দুল ইসলাম (২০), সফল চাকমা (২০), আলী হোসেন (৩০) ও খিং খিং (৫)।
মূলত খাগড়াছড়ির পানখাইয়াপাড়ার বাসিন্দা মংনু মারমার পাঁচ বছরের শিশু ছাড়া বাকি সবার ঢাকায় অবস্থানকালে জ্বর হয়। পরে পরীক্ষা করলে ডেঙ্গু ধরা পড়ে।
এদিকে, ডেঙ্গু আক্রান্তদের জন্য হাসপাতালে আলাদা পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র খোলা হয়েছে। তবে এখনও ডেঙ্গু পরীক্ষায় ব্যবহৃত কীট না আসায় কর্তৃপক্ষ বাইরে পরীক্ষা করে চিকিৎসাপত্র দিচ্ছে। তবে এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই বলে জানালেন চিকিৎসকরা।
ঢাকার লাল মাটিয়া মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী বালাই ত্রিপুরা বলেন, হোস্টেলে থাকা অবস্থায় জ্বর হয়। পরে পরীক্ষা করলে ডেঙ্গু ধরে পড়ে। গত ৩০ জুলাই খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি হই।
একই চিত্র সৈয়দুল ইসলাম, আলী হোসেনসহ অন্যদের। সবাই ঢাকায় পড়াশুনা কিংবা চাকরি করতে গিয়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়।
খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. নয়নময় ত্রিপুরা বলেন, শুধু একজন শিশুর খাগড়াছড়ি থাকা অবস্থায় ডেঙ্গু ধরা পড়ে। অন্য ডেঙ্গু আক্রান্তরা ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ি এসেছিলেন। পরে পরীক্ষা করে ডেঙ্গু ধরা পড়ে। এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০১৯
এডি/আরবি/