সোমবার (৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় আধুনিক সদর হাসপাতালে গিয়ে জানা যায়, গত ৪৮ ঘণ্টায় এখানে ১৭ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। এখন পর্যন্ত হাসপাতালটি থেকে মোট ৪৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্তকে সেবা দেওয়া হয়েছে।
চিকিৎসক সঙ্কটসহ উদ্ভূত পরিস্থিতি প্রসঙ্গে কুড়িগ্রাম আধুনিক হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) শাহীনুর রহমান সরদার বাংলানিউজকে জানান, আড়াইশ’ শয্যার হাসপাতালে ৪২টি পদের বিপরীতে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসক রয়েছেন মাত্র ১৩ জন। এছাড়া পুরো হাসপাতালে ২৬৬ পদের বিপরীতে জনবল রয়েছে মাত্র ১২৩ জনের। সবাই বাড়তি চাপ নিয়ে কাজ করছে। তবে হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ প্রাথমিক চিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে উল্লেখ করে কাউকে আতঙ্কিত না হওয়ার অনুরোধ জানান এ চিকিৎসক।
কুড়িগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. এসএম আমিনুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, আমরা সতর্ক রয়েছি। ঈদে ঢাকা থেকে ঘরমুখো মানুষের চাপে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। আমাদের কাছে ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট আছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে কিট পাঠানো হয়েছে। যাতে কিট সঙ্কট না হয় সেজন্য আরো কিট আনতে ঢাকায় লোক পাঠানো হয়েছে। হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রয়েছে। আতঙ্কিত না হয়ে সচেতনতার মধ্য দিয়ে এ রোগ নিরাময় ও প্রতিরোধ করা সম্ভব।
এদিকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলায় সচেতনতা র্যালি, আলোচনা সভা, সমাবেশ, ডেঙ্গুর লার্ভা নষ্ট করার ওষুধ ছেটানোসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে।
সোমবার এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান, সিভিল সার্জন ডা. এস এম আমিনুল ইসলাম, পৌর মেয়র আব্দুল জলিল, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান কাজিউল ইসলাম, প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট আহসান হাবীব নীলু, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সাঈদ হাসান লোবান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০১৯
এফইএস/এইচজে/জেডএস