এ নিয়ে বর্তমানে ৭৭ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আক্রান্তদের মধ্যে ১০ জন বগুড়ায় এবং বাকিরা ঢাকা থেকে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
মঙ্গলবার শজিমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. আরিফুর রহমান তালুকদার বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, এসব রোগীদের ডেঙ্গু ওয়ার্ড ছাড়াও পুরুষ-নারী মেডিসিন ওয়ার্ড, শিশু ওয়ার্ড ও কেবিনে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। গত ১৭ দিনে ২৭৭ জন ডেঙ্গু রোগীকে এখানে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে ১৪৪ জন ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
এছাড়া উন্নত চিকিৎসার জন্য ছয়জন রোগী ঢাকায় গিয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে চিকিৎসক, পুলিশ কর্মকর্তা, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, ছাত্র-শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার পুরুষ-নারী রয়েছেন।
ডা. আরিফুর রহমান তালুকদার জানান, ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিতে ১০ সদস্যের টিম গঠন করা হয়েছিল। তবে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ায় এ টিম ১৩ সদস্যের করা হয়েছে। কারণ ঈদুল আজহা আসন্ন। ঈদের ছুটিতে ঢাকা থেকে ডেঙ্গুর জীবাণু বহনকারী আরও রোগী আসতে পারেন। এমন পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে বলে যোগ করেন এ চিকিৎসক।
এদিকে, জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. এহিয়া কামাল জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে একজন, শামসুন্নাহার ক্লিনিকে চারজন ও টিএমএসএস হাসপাতালে একজন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০১৯
এমবিএইচ/আরবি/