শনিবার (১০ আগস্ট) দুপুর দেড়টায় বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন।
রুশা ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলার জীবনদাশকাঠি এলাকার রুহুল আমিনের মেয়ে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে মুমূর্ষু অবস্থায় রুশাকে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। পরে রাতেই তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রেফার করা হলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
আইসিইউ’র চিকিৎসকরা বাংলানিউজকে জানান, শিশুটি পাঁচ দিন আগেই ঢাকায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়। সেখানেই চিকিৎসা নেওয়ার পর সুস্থ অনুভব করলে বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) তাকে ঝালকাঠির রাজাপুরে গ্রামের বাড়িতে আনা হয়। এরপর সেখানে পুনরায় অসুস্থ বোধ করলে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে শেবাচিম হাসপাতালে পাঠায়।
চিকিৎসকরা আরও জানান, দীর্ঘ সময়ের বাস যাত্রায় শিশুটির পানি শূন্যতা দেখা দিলেও সে পর্যাপ্ত পানি পান করেনি। এমনকি বমিও হয় তার। এতে দ্রুতই রক্তে প্লাটিলেটের পরিমাণ কমে যায়। একপর্যায়ে সে ডেঙ্গু শকে চলে যায়।
এদিকে স্বজনরা জানিয়েছে, অসুস্থ অবস্থায় শিশু রুশাকে নিয়ে রাজাপুর হাসপাতালে যাওয়া হয়। সেখানে পরীক্ষার ব্যবস্থা না থাকায় তাকে শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু শেবাচিম হাসপাতালে আসার পর জায়গা সংকট দেখে তাকে বেসরকারি রাহাত আনোয়ার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখান থেকে পুনরায় শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়।
শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক জানান, এ রোগী ঢাকায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসা নিয়েই গ্রামের বাড়িতে আসে। পরে শারিরীক অবস্থা খারাপ হলে শুক্রবার রাত ৯টায় শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি হয়। পরবর্তীতে শনিবার সকালেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়।
এ নিয়ে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে শেবাচিম হাসপাতালে চারজন রোগীর মৃত্যু হলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৯
এমএস/এইচএডি/এসএ