বর্তমানে চিরুনি অভিযান চলতে থাকা ৩৬টি ওয়ার্ডের কোনো বাড়ি বা প্রতিষ্ঠানের কেয়ারটেকার, নিরাপত্তা প্রহরী অথবা মালিক অসহযোগিতা করলে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আতিকুল ইসলাম।
রোববার (২৫ আগস্ট) রাজধানীর গুলশান-২ এর ডিএনসিসি মার্কেট প্রাঙ্গণে সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত ‘ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা কার্যক্রম’ এর উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘চিরুনি অভিযান’ চলাকালে ডিএনসিসির পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের অনেক বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। অনেকে সময়ক্ষেপণ করেন। ফলে অনেক ক্ষেত্রে অভিযান পরিচালনায় ব্যাঘাত ঘটছে। আমি নিজেও গিয়ে দেখেছি যে, আমাদের ৪৫ মিনিট পর্যন্ত বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। এছাড়া লিফট বন্ধ রাখা হচ্ছে, ছাদের দরজা তালা মেরে চাবি দেওয়া হচ্ছে না।
‘ডেঙ্গু প্রতিরোধে ইতোমধ্যে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ এগিয়ে এসেছেন, তবে আরও এগিয়ে আসতে হবে। আর যারা আমাদের সহযোগিতা করবে না, তাদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগ করা হবে। ’
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ডিএনসিসির সব বাড়ি, প্রতিষ্ঠান, খোলা জায়গা ও পরিত্যক্ত ভবন ১০ দিনব্যাপী চলমান চিরুনি অভিযানের আওতায় আসবে। কিছুই বাদ যাবে না। তবে পরবর্তীতে এটি চালিয়ে যাওয়াই মূল চ্যালেঞ্জ এবং এজন্য বছরের ৩৬৫ দিনই এডিস মশা নিধনে কাজ করতে হবে বলে জানান তিনি।
এর জন্য শীঘ্রই ইন্টিগ্রেটেড ভেক্টর ম্যানেজমেন্ট (আইভিএম) পরিকল্পনা প্রকাশের কথা জানান আতিক।
মেয়র জানান, মশক নিধনের যন্ত্রপাতি আধুনিকীকরণ, মশক নিধনকর্মীদের প্রশিক্ষণ প্রদান, কীটনাশক প্রয়োগের পরে মশাসহ অন্যান্য কীটপতঙ্গ ও সর্বোপরি পরিবেশের ওপর এর প্রভাব ইত্যাদি নিয়ে গবেষণা এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ এ পরিকল্পনার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আফসার উদ্দিন খান ও ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’র সভাপতি পীযুষ বন্দোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন।
চিরুনি অভিযানের লক্ষ্যে ডিএনসিসি-এর প্রতিটি ওয়ার্ডকে ১০টি ব্লকে ও প্রতিটি ব্লককে ১০টি সাব-ব্লকে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিদিন প্রতিটি ওয়ার্ডের একটি করে ব্লক থেকে এডিস মশার লার্ভা ধ্বংস ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন>>>>ডেঙ্গু: দুই সিটি করপোরেশনকে মাস্টার প্ল্যানের নির্দেশ
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৯
এসএইচএস/এসএ