মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) অ্যাসোসিয়েশেনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, গত তিন-চার দিন জামালপুর জেলা প্রশাসকের অশ্লীল ভিডিওতে ভাসছে দেশ। সমাজ আজ বিপন্ন।
বিবৃতিতে বলা হয়, দেশে প্রায় নয় কোটি ইন্টারনেট গ্রাহক হলেও পাড়া মহল্লার কম্পিউটারের দোকান মেরোরি কার্ডে লোড করে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী থেকে শুরু করে স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছেলেমেয়েরা এমনকী বৃদ্ধরাও ডিসির এই অপকর্মের ভিডিও দেখছেন। কাজের ফাঁকে বড় আলোচনার বিষয় এখন জামালপুরের ডিসি।
দেশে ২২ হাজার পর্ন সাইট বন্ধ করলেও এই ভিডিও গত তিন-চার দিনেও সরকার বা নিয়ন্ত্রক সংস্থা বন্ধ করার কোনো উদ্যোগ নেয়নি। নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসব নিয়ন্ত্রণ করার সক্ষমতা কেন রাখছে না তা অবশ্যই প্রশ্ন রাখে।
দেশে পর্নগ্রাফি আইন-২০১২ রয়েছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, এই আইনের মাধ্যমে এ কাজে লিপ্ত ব্যক্তির সাত বছরের জেল ও দুই লাখ টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ তে এক কোটি টাকা জরিমানা ও ১৪ বছরের জেলের বিধান থাকলেও জেলা প্রশাসক এবং তার সহকর্মীকে এ আইনের আওতায় কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না তা জাতি জানতে চায়। সেই সঙ্গে যারা এই অশ্লীল ছবির প্রসার ও প্রচার ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে একই শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি বিটিআরসি হাইকোর্টে প্রতিবেদন দিয়েছে যে, দেশের তিনটি অপারেটর ফেসবুক ও গুগলে তিন বছরে দিয়েছে তিন হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ, দৈনিক প্রায় ১০ কোটি টাকার মতো ব্যয় করছে অপারেটরা। এত টাকা ব্যয় করার পরও গুগল ও ফেসবুকের সঙ্গে আমাদের কেন এ ধরনের চুক্তি করা হচ্ছে না। সরকারের অনেক উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চারিত্রিক দিক নিয়ে জনমনে প্রশ্ন রয়েছে। তাই সরকারকে দ্রুত এ বিষয়গুলি দেখভাল করার আহ্বান জানাই। এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামী প্রজন্ম ধ্বংস হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৯
এমআইএইচ/এএ