‘পেশেন্ট সেফটি ফার্মাকোভিজিলেন্স’ শীর্ষক এ গোলটেবিল বৈঠক রোশ বাংলাদেশের সহযোগিতায় রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টার ইনে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক নায়ার সুলতানা।
এতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ওষুধ শিল্প সমিতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদের শিক্ষক, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, হাসপাতাল, ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি এবং গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই সূচনা বক্তব্যে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক নায়ার সুলতানা বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে প্রথমবার এ দিবসটি উদযাপনে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর যুক্ত হতে পেরে গর্বিত।
তিনি আরও বলেন, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর নিজস্ব উদ্যোগে অনেক বছর যাবৎ সীমিত জনবল নিয়ে রোগীর জন্য নিরাপদ ওষুধ নিশ্চিতকরণে কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি মি. রামজি ইসমাইল তার বক্তব্যের শুরুতে সারাবিশ্বের মত বাংলাদেশেও ওয়ার্ল্ড পেশেন্ট সেফটি ডে পালন করার জন্য ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি হাসপাতালগুলোতে ফার্মাসিস্ট নিয়োগের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।
অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্যে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ড. আকতার হোসেন উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, কিছু সীমাবদ্ধতা থাকা সত্বেও রোগীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ ডি আর এম সেলের অন্তর্ভুক্ত ফার্মাকোভিজিলেন্স কার্যক্রমের মাধ্যমে ওষুধ ও রোগীর নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীসহ সব স্টেকহোল্ডারের সমন্বিত উদ্যোগ ও সার্বিক সহযোগিতা প্রয়োজন। এ বিষয়ে সহযোগিতা করার জন্য তিনি সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১২১২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯
আরবি/