তবে এখনও দেশের বিভিন্ন স্থানে ডেঙ্গুরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে বলে জানা গেছে। যেগুলো এখনও সরকারি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়নি।
সরকারের এই গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির মতে, ডেঙ্গুরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ৪২ দশমিক ৫ শতাংশের বয়সই ১৮ বছরের নিচে। যাদের মধ্যে ১৫ জনের বয়স ৫ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে। যা মোট মৃত্যুর ২৫ ভাগ।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ন্যাশনাল হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক ডা. আয়েশা আক্তার এসব তথ্য বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
ডা. আয়েশা আক্তার বলেন, মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে রাজধানীর ৪১টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ৭৭৮ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন। অর্থাৎ ক্রমেই ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা কমে আসছে। একই সময় পর্যন্ত ঢাকার বাইরে এক হাজার ১৫০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। সব মিলিয়ে সারাদেশে মোট ভর্তি রয়েছেন এক হাজার ৯২৮ জন।
এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীতে নতুন ভর্তি হয়েছেন ১৩১ জন ভর্তি এবং হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ২১৪ জন। অন্যদিকে ঢাকার বাইরে একই সময়ে নতুন রোগী ভর্তি ৩৩৮ জন এবং ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩৪৫ জন।
এছাড়া চলতি বছরের জানুয়ারিতে ৩৮, ফেব্রুয়ারিতে ১৮, মার্চে ১৭, এপ্রিলে ৫৮, মে’তে ১৯৩, জুনে এক হাজার ৮৮৪, জুলাইয়ে ১৬ হাজার ২৫৩, আগস্টে ৫২ হাজার ৬৩৬ এবং সেপ্টেম্বরে (এখন পর্যন্ত) ১৪ হাজার ৬৬০ জন ডেঙ্গুরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। অর্থাৎ এ বছরই বাংলাদেশে সর্বোচ্চ সংখ্যক লোক ডেঙ্গুরোগে আক্রান্ত হওয়ার রেকর্ড হয়েছে। যার মধ্যে আগস্টেই ছিল সর্বোচ্চ।
বর্তমানে রাজধানীর সরকারি হাসপাতালগুলোর মধ্যে- ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ৩৭, মিটফোর্ডে ২২, ঢাকা শিশু হাসপাতালে ৩, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ১২, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪, মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১৪, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ২ ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ১২ জনসহ বিভিন্ন সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত হাসপাতালে মোট ১০৬ জন ডেঙ্গুরোগী ভর্তি রয়েছেন। অন্যদিকে বেসরকারি হাসপাতালে রয়েছেন ২৫ জন।
ঢাকা শহর ব্যতীত ঢাকা বিভাগের অন্যান্য এলাকায় ৮১, চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৫, খুলনায় ১২০, রংপুরে ৩, রাজশাহীতে ৩০, বরিশালে ৪৪, সিলেটে ৩ এবং ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ১২ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, গত জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ৮৫ হাজার ৭৫৭ জন। হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৮৩ হাজার ৬০৫ জন। অর্থাৎ আক্রান্তদের মধ্যে ৯৮ ভাগ রোগীই ইতোমধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৯
এমএএম/এসএ