তবে ডেঙ্গুতে মৃত সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে বলে শোনা যাচ্ছে দেশের বিভিন্নস্থান থেকে। এ সংখ্যা এখনও সরকারি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়নি।
সোমবার (২১ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ন্যাশনাল হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক ডা. আয়েশা আক্তার বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সরকারি হিসেবে দেশের ঢাকা শহর ছাড়া ঢাকা বিভাগে ২৭, চট্টগ্রাম বিভাগে ২৩, খুলনায় ৪৭, রংপুর পাঁচ, রাজশাহীতে পাঁচ, বরিশালে ২৮, সিলেটে তিন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে চারজন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হন।
ডা. আয়েশা আক্তার বলেন, শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে রাজধানীর মাত্র ৪১টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ৪০৯ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন। একই সময়ে ঢাকার বাইরে ৫০৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
এছাড়া এই সময়ে রাজধানীর সরকারি হাসপাতালগুলোর মধ্যে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১৭, মিটফোর্ডে পাঁচ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই, পুলিশ হাসপাতাল রাজারবাগে দুই, মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তিন ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ছয়জনসহ ঢাকা শহরের সরকারি ও স্বায়ত্ত্বশাসিত হাসপাতালে ৪৭ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। আর বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৮ জন।
তবে গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীতে নতুন ৭৫ জন রোগী ভর্তি হলেও হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১১০ জন। এছাড়া ঢাকার বাইরে ১৪২ জন নতুন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। আর ছাড়পত্র পেয়েছেন ১৬৩ জন।
রোববার (২০ অক্টোবর) সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে ২১৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় (শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ভর্তি হন ২২৯ জন। এ হিসেবে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত সংখ্যা কমেছে ১২ জন।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে ৩৮, ফেব্রুয়ারিতে ১৮, মার্চে ১৭, এপ্রিলে ৫৮, মে মাসে ১৯৩, জুনে এক হাজার ৮৮৪, জুলাইয়ে ১৬ হাজার ২৫৩, আগস্টে ৫২ হাজার ৬৩৬ জন, সেপ্টেম্বরে ১৬ হাজার ৮৫৬ জন এবং অক্টোবরের ২১ দিনে পাঁচ হাজার ৬৩৭ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। এ হিসেবে ২০১৯ সালে বাংলাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত সংখ্যা সর্বোচ্চ। এর মধ্যে আবার আগস্টে সর্বোচ্চ।
হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন ৯৩ হাজার ৫৯০ জন। হাসপাতাল থেকে সুস্থ্য হয়ে ছাড়পত্র গ্রহণ করেছেন ৯২ হাজার ৩৭০ জন। অর্থাৎ আক্রান্তদের ৯৮ দশমিক আট শতাংশ রোগীই ছাড়পত্র পেয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৯
এমএএম/টিএ