সোমবার (২১ অক্টোবর) রাতে ঢাকা ক্লাবে আয়োজিত অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হয়েছে দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলন। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সমাপনী আয়োজনে সম্মাননা দেওয়া হয় গবেষকদের।
কংগ্রেসে প্রদর্শিত গবেষণা ও পোস্টার থেকে বিচারকরা নির্বাচন করেন সেরা গবেষণা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) ও আন্তর্জাতিক উদারাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশের (আইসিডিডিআর,বি) যৌথ উদ্যোগে ও ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নালের (বিএমজে) সহায়তায় এ সায়েন্টিফিক কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর কাজী শহিদুল্লাহ। তিনি বলেন, আমাদের দেশে এখন নানা মাত্রায় গবেষণা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ভীষণ আগ্রহ নিয়ে গবেষণা করছেন। দেশে এ ধরনের কংগ্রেস আমাদের চিকিৎসকদের বহুমাত্রিক গবেষণা করতে মনোযোগী করে তুলবে। গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশের মাধ্যমে গবেষকেরা যেমন নিজেদের দক্ষতা বিকাশের সুযোগ পাচ্ছেন, তেমনি আমাদের নীতিনির্ধারণেও দিকনির্দেশনা পাওয়ার সুযোগ বাড়ছে।
কংগ্রেসের চেয়ারম্যান ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কনক ডা. কান্তি বড়ুয়ার সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ। সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. সাহানা আখতার রহমান, আইসিডিডিআরবির এইচএসপিএসডি সিনিয়র ডিরেক্টর ড্যানিয়েল রিডপ্যাথ, কংগ্রেসের কনভেনর ও আইসিডিডিআরবির নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ ইনিশিয়েটিভ শাখার প্রধান ড. আলিয়া নাহিদ প্রমুখ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তার বক্তব্যে বলেন, আমাদের দেশের স্বাস্থ্য খাতে অগ্রগতি চোখে পড়ার মতো। চিকিৎসকেরা যেমন দায়িত্ব পালন করছেন, তেমনি গবেষণাতেও মনোযোগ দিচ্ছেন। অসংক্রামক রোগের ওপর এত গবেষণা যে বাংলাদেশের চিকিৎসকেরা করছেন, তা অবাক করে দেয়। এমন আয়োজন তরুণ চিকিৎসকদের ভিন্নমাত্রায় গবেষণায় আগ্রহী করে তুলবে।
কংগ্রেসের চেয়ারম্যান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, চিকিৎসকেরা অনেক পরিশ্রম করেন। দিনে ১৪-১৫ ঘণ্টা কাজ করেন অনেকেই। একদিকে চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্ব পালন, অন্যদিকে গবেষণায় নিজেকে স্থির রাখা একটি চ্যালেঞ্জ। তরুণ গবেষকেরা নিজের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি গবেষণায় আগ্রহী হয়ে উঠছে। এ ধরনের কংগ্রেস শুধু তাদের অনুপ্রেরণাই দেয় না, দক্ষ চিকিৎসক হয়ে উঠতে সহায়তা করে।
সমাপনী আয়োজনে নয়টি ক্যাটাগরিতে মোট ২১টি সেরা গবেষণা ও পোস্টারকে পুরস্কার এবং সম্মাননা দেওয়া হয়। সেরা গবেষণার ১১টিই ছিল নারী গবেষকদের গবেষণা ও পোস্টার প্রদর্শনী।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৯
এমএএম/একে