এদিকে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় বাধ্য হয়ে মেঝেতে বিছানা করে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে রোগীদের।
এ ব্যাপারে সদর হাসপাতালের চিকিৎসক শিশু বিশেষঞ্জ ডা. মাহফুজুর রহমান জানান, ডায়রিয়া ওয়ার্ড ও এর মেঝেতে রোগী সংকুলান না হওয়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ডেঙ্গু কর্নারে আপাতত ডায়রিয়া কর্নার হিসেবে ঘোষণা দিয়ে সেখানে রোগীর চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে।
সদর আধুনিক হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. নাদিম সরকার জানান, গত বুধবার থেকে শুক্রবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১১৪ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি ছিল। শুক্রবার বিকল থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত ৪৭ জন রোগী ভর্তির পর বর্তমানে ১৬১ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আক্রান্তরা জানান, নবাবগঞ্জ পৌরসভার ৪, ৫, ৬, ৭ ও ৮ নম্বর ওর্য়াডের দারিয়াপুর, হরিপুর, নামোনিমগাছী ও উপর রাজারামপুর এলাকায় পৌরসভার সাপ্লাই পানি পান করে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন তারা।
যদিও এ বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছে পৌর কর্তৃপক্ষ। পৌরসভার দাবি যেহেতু এলাকার সব জনগোষ্ঠি এ পানি পান করে সেহেতু আক্রান্ত হলে পুরো এলাকার মানুষ আক্রান্ত হতো।
এদিকে সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী বলেন, আতঙ্কের কিছু নেই সুষ্ঠুভাবে রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। কলেরা স্যালাইনের ব্যবস্থা করার জোর প্রচেষ্টা চলছে। তিনি সবাইকে টিউবয়েলের পানি পান করতে এবং পানি ফুটিয়ে পান করার পরামর্শ দিয়েছেন। আক্রান্ত এলাকার পানি পরীক্ষার জন্য রাজশাহী পাঠানো হলেও এখনও রির্পোট তাদের হাতে এসে পৌঁছেনি বলে জানিয়েছেন তিনি।
অপরদিকে নবাবগঞ্জ পৌর মেয়র মোহম্মদ নজরুল ইসলাম দাবি করেন, সাপ্লাই পানি থেকে এ সমস্যা হলে পৌর এলাকার অন্যান্য মহল্লাবাসীও আক্রান্ত হতো।
তিনি আরও বলেন, আক্রান্ত এলাকায় তিনটি টিম পাঠানো হয়েছে। মাইকিং করে পানি ফুটিয়ে পান করার জন্য বলা হয়েছে। আক্রান্ত এলাকার ২টি বাড়ির পানি সাপ্লাই লাইনে লিকেজ পাওয়া গেছে, যা ইতোমধ্যেই মেরামতের জন্য একটি দল পাঠানো হয়েছে।
এছাড়াও ৪ থেকে ৮ নম্বর ওয়ার্ড পর্যন্ত যে ৩টি গভীর নলকূপ রয়েছে সেগুলোর পাশের রিজার্ভ পানির ট্যাংকগুলোতে ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে পানি বিশুদ্ধকরণ করা হয়েছে।
বুধবার রাত থেকে হঠাৎ করে পৌরসভার ৫টি ওর্য়াডের দেড় শতাধিক এলাকাবাসী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এখনো রোগী ভর্তি অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৯
আরএ