মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) গুরুত্বপূর্ণ এ সেবাকেন্দ্রটিতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় এমন চিত্র। প্রতিষ্ঠানটিতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে কর্মরত চিকিৎসাকর্মীসহ আগত রোগীদের।
জাতীয় বাতজ্বরজনিত হৃদরোগ প্রতিরোধ কেন্দ্র ভবনটি হাসপাতাল এলাকার মধ্যে হলেও এটি একটি আলাদা প্রতিষ্ঠান। যা সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজের সঙ্গে সংযুক্ত। তবে একই এলাকার অন্য ভবনে বিদ্যুৎ রয়েছে বলেও জানা যায়। এই সেবাকেন্দ্রে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণ সম্পর্কে এখন পর্যন্ত কিছু নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
জাতীয় বাতজ্বরজনিত হৃদরোগ প্রতিরোধ কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে আসা মো. সবুজ মিয়া বাংলানিউজকে জানান, সকালে এখানে চিকিৎসার জন্য এলেও ১১১ নম্বর রুমে (রক্ত কালেকশন রুম) রক্ত নিতে রাজি হয়নি। বলেছিল সমস্যা আছে। পরে রক্ত নিতে রাজি হয় এবং দেখি এই ভবনে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। তখন সেখানে কর্মরত কয়েকজন মিলে মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে রক্ত নেওয়ার কার্যক্রম শুরু করে। যেটা অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। আমাদেরও এ ছাড়া আর কিছু করার ছিল না।
এ বিষয়ে জাতীয় বাতজ্বরজনিত হৃদরোগ প্রতিরোধ কেন্দ্রের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী বাংলানিউজকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ঠিক পাশেই এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি চিকিৎসাকেন্দ্রে এভাবে কেন বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকবে তা আমাদের বোধগম্য নয়। এর আগে এমনটা হয়নি। কিন্তু আমরা এখন কাজ করতে পারছি না। রোগীদের চাপ অনেক। অনেক কাজ বন্ধ রয়েছে। এভাবে চললে অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে।
এ বিষয়ে জাতীয় বাতজ্বরজনিত হৃদরোগ প্রতিরোধ কেন্দ্রের দায়িত্বরত কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
তবে সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মামুন মোর্শেদ বাংলানিউজকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পাশে হওয়ায় এটিতে বিদ্যুতের লাইনও ভিআইপি। তাছাড়া হাসপাতালে বিদ্যুৎ যায় না, কারণ দুইটা লাইন থাকে। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হলে আইসিইউর রোগীরা মারা যাবেন। এজন্য আমাদের জেনারেটরেরও ব্যবস্থা রয়েছে।
‘হাসপাতালে আজ ৫ মিনিটের জন্য বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল টেকনিক্যাল সমস্যার জন্য। সেটা ঠিক হয়েছে। আর জাতীয় বাতজ্বরজনিত হৃদরোগ প্রতিরোধ কেন্দ্র পুরাটাই আলাদা সরকারি প্রতিষ্ঠান। ওখানে কি হচ্ছে তা বলতে পারছি না ‘
তবে বিষয়টা তিনি আমলে নিয়ে দেখবেন বলেও জানান বাংলানিউজকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৯
এমএএম/এএ