রোববার (২৪নভেম্বর) দুপুরে রাঙামাটি সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বিশ্ব অ্যান্টিবায়োটিক সচেতনতা সপ্তাহ-২০১৯ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
সিভিল সার্জন বলেন, সুস্থ জাতি গড়ে তুলতে হলে ওষুধের ব্যবহার সম্পর্কে জানতে হবে।
সিভিল সার্জন ডা. শহীদ তালুকদার আরও জানান, আমাদের সরকারি হাসপাতালগুলোতে ৫ টাকা ফি দিলে রেজিস্ট্রার্ড চিকিৎসকের একটি প্রেসক্রিপশন এবং সঙ্গে বিনামূল্যে ওষুধ পাওয়া যায়।
এছাড়া রাঙামাটি সদর হাসপাতালে উন্নতমানের এক্সরে মেশিনসহ নানা ধরনের উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাঙামাটি মেডিক্যাল কলেজ হওয়ায় এখানে দক্ষ চিকিৎসকের অভাব নেই। এজন্য তিনি তাদের পরামর্শ ছাড়া ‘অ্যান্টিবায়োটিক’ ওষুধ না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
‘অ্যান্টিবায়োটিক’ এর কুফল সম্পর্কে বর্ণনা করতে গিয়ে রাঙামাটি সদর হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. খোরশেদ আলম জানান, বাংলাদেশে তেমন কোনো ‘এন্টিবায়োটিক’ প্রস্তুত করা হয় না। কারণ অ্যান্টিবায়োটিক তৈরি করা অনেক খরচের ব্যাপার। আমাদের হাতে যেসব এন্টিবায়োটিক আছে তা বৈজ্ঞানিক উপায়ে ব্যবহার করি।
ডা. খোরশেদ আরও জানান, একটি অনুজীব ১০ হাজার কোটি অনুজীব তৈরি করে। বিনা প্রয়োজনে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
রোগ থেকে মুক্তি পেতে খাওয়ার আগে এবং শৌচাগার থেকে বের হয়ে সাবান দিয়ে হাত দোয়া, বিভিন্ন রোগের টিকা নেওয়া এবং নিরাপদ খাদ্য ও পানি গ্রহণ করার পরামর্শ দেন তিনি।
এর আগে দিবসটি উপলক্ষে রাঙামাটি সদর হাসপাতাল প্রাঙ্গণ থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি ওই এলাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে এসে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।
সভা পরিচালনা করেন রাঙামাটি সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শওকত আকবর। এসময় শিক্ষানবীশ ডাক্তার, সেবিকারা এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৯
আরএ