বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে হাসপাতালের কর্মকর্তারা বাংলানিউজকে জানান, আমরা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে লক্ষ্য করছি একজন রোগীকে দেখার জন্য ১০ জন দর্শনার্থী আসেন। যে কারণে হাসপাতালের ডাক্তারদের চিকিৎসাসেবা দিতে যেমন বেগ পেতে হয় তেমনি হাসপাতালের পরিবেশের অবনতি ঘটে।
এছাড়া রোগীদের জন্য ব্যবহৃত টয়লেট অপরিষ্কার হয় এবং রোগীদের নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটে। এ সবকিছু চিন্তা করে হাসপাতালে রোগীদের ভাল করে চিকিৎসাসেবা দিতে এবং পরিবেশের উন্নতি ঘটাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দর্শনার্থীদের প্রবেশের সময় এবং সীমাবদ্ধতা নির্ধারণ করে দিয়েছে।
রাঙামাটি সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শওকত আকবর বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, রাঙামাটির মতো একটি বড় জেলার মধ্যে সরকারি হাসপতাল মাত্র একটি। এখানে রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য আসন সংখ্যা সীমিত। কিন্তু রোগীর সঙ্গে এখানে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত দর্শনার্থী প্রবেশে হাসপাতালের পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে।
রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়ার সময় আমাদের অনেক বেগ পেতে হয়। তাই আমরা সবকিছু বিবেচনা করে রোগীদের সুচিকিৎসার কথা চিন্তা করে চলতি বছরের পহেলা ডিসেম্বর থেকে দর্শনার্থী প্রবেশের সময় এবং সীমাবদ্ধতা নির্ণয় করেছি।
রাঙামাটি সিভিল সার্জন ডা. শহীদ তালুকদার রাঙামাটি সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, আমরা চাই রাঙামাটি সদর হাসপাতালে পরিবেশের উন্নতি হোক, নিরাপত্তা বজায় থাকুক।
সিভিল সার্জন আরও বলেন, চলতি বছরের পহেলা ডিসেম্বর থেকে রাঙামাটি সদর হাসপতালের ‘মহিলা ও শিশু ওয়ার্ডে রাত ১০টার পর থেকে কোনো পুরুষ অবস্থান করতে পারবেন না। আর ওয়ার্ডের অভ্যন্তরে রাউন্ড চলাকালীন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত রোগী ছাড়া অন্যদের অবস্থানে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রচার-প্রচারণা শুরু করে দিয়েছে বলে সিভিল সার্জন যোগ করেন।
সিভিল সার্জন ডা. শহীদ তালুকদার বলেন, জেলা পরিষদের অর্থায়নে হাসপাতালের তৃতীয় তলার কাজ শুরু করা হয়েছে। আশাকরি অল্প সময়ের মধ্যে কাজটি শেষ হলে আমরা ওখানে রোগীদের জন্য আরও ৪০টি বেডের ব্যবস্থা করতে পারবো। ফলে রোগীরা আগের চেয়ে আরও বেশি সুবিধা নিয়ে চিকিৎসা সুবিধা ভোগ করবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘন্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৯
আরএ