খাবারে চুলের উপস্থিতি পেলেই না খেয়ে সেটা ফেলে দিচ্ছি। ভাবছি পেটে বা স্বাস্থ্যের ক্ষতি হবে।
বলা হচ্ছে, রান্না করা সবজির পাত্রে বা ডালের মধ্যে, এমনকি তরকারির মধ্যেও থাকতে পারে দুয়েকটা চুল। আর সাধারণত এসব ঘৃণ্য পরিস্থিতি আমাদের সামনে আসলে ‘ইয়াক’ বলে উঠি আর অনেক বিব্রত হই। বমি করার চেষ্টা করি। এমনকি খাবারটুকুও ফেলে দিই।
এছাড়া অনেক সময় খাবারে সবার চোখের অড়ালেই থেকে যাচ্ছে চুল। যা পরে যাচ্ছে পেটে। এতে কী হতে হচ্ছে, চিন্তা করেন অনেকে। প্রশ্ন আছে অনেকের। যার সমাধান খুঁজেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।
গবেষণার বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, মানব চুল ‘কেরাটিন’ নামক এক ধরনের প্রোটিনের মাধ্যমে সৃষ্টি। যা আমাদের নখ, অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলোর আস্তরণ এবং ত্বকের বাইরের স্তরকেও তৈরি করে।
কেরাটিনে ‘এল-সিস্টাইন’ নামে একটি অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে। যা রুটি বা ময়দা দিয়ে তৈরি বিভিন্ন খাবারের মধ্যে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কারণ এটি এসব খাবারের সেলফের আয়ু বাড়িয়ে তোলে। একইসঙ্গে এসিডটি সুষম খাদ্য তালিকার সংযোজন করতেও বিক্রি হয়ে থাকে।
এ হিসেবে ‘চুলের সংমিশ্রন’ রুটি বা এ জাতীয় অন্যকিছু আমরা নিরাপদ খাদ্য হিসেবেই গ্রহণ করছি। কিন্তু খাবারে পাওয়া চুল কী নিরাপদ, এ প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, চুল তৈরি করে থাকলেও কেরাটিন প্রোটিন রাসায়নিকভাবে নিষ্ক্রিয়। সুতরাং খাবারে পাওয়া ‘প্রোটিনগুলোর’ বিপরীতে এটি অন্ত্রে কোনো প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে না। সহজভাবে বললে, চুলের সংস্পর্শের খাবার বা সঙ্গে চুল খেলে হজমের কোনো সমস্যা হয় না। সবমিলে, চুল প্রাকৃতিকভাবে আমাদের স্বাস্থ্যের কোনো ক্ষতি করে না।
তবে বিষয়টির শেষ এখানেই নয়। কোনো কোনো পরিস্থিতিতে খাদ্যে চুলের উপস্থিতি দূষণও হতে পারে। কেননা, চুল সবসময় যে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকবে- এমনটি নয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৯
টিএ