মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) শহীদ ডা. মিলন হলে অধ্যাপক ডা. জোহরা বেগম কাজী স্মরণে তার ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, মহাত্মা গান্ধীর আশ্রমেও তিনি রোগীদের সেবা দিয়েছেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, সেবাই পরম ধর্ম। গুণী শিক্ষক, মহান চিকিৎসক, বহুমুখী গুণের অধিকারী, মহিয়সী নারী অধ্যাপক ডা. জোহরা বেগম কাজীর জীবানাদর্শকে অনুসরণ করে দরদী মন নিয়ে রোগীদের সেবা দিতে হবে। নিজেকে ভালো চিকিৎসক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
উপাচার্য তার বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. জোহরা বেগম কাজী স্মরণে তার নামে মেডিক্যাল কলেজ বা এ জাতীয় প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করার দাবি জানান।
অধ্যাপক ডা. জোহরা বেগম কাজী পরিষদের সভাপতি ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খানের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- সংসদ সদস্য ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় সংস্কার) শেখ মজিবুর রহমান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিভাগের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. লতিফা সামসুদ্দিন, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক মহাসচিব ডা. সারোয়ার আলী, অধ্যাপক ডা. জোহরা বেগম কাজী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. নাজমুল করিম মানিক প্রমুখ।
অধ্যাপক ডা. জোহরা বেগম কাজী ১৯১২ সালের ১৫ অক্টোবর অবিভক্ত ভারতের মধ্য প্রদেশের রাজনান গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ২৩ বছর বয়সেই তিনি দিল্লীর লেডি হাডিং মেডিক্যাল কলেজ থেকে ১৯৩৫ সালে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করে এমবিবিএস পাস করেন। এজন্য পুরস্কার হিসেবে পান ভাইসরয় পদক। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর তিনি ঢাকায় চলে আসেন। ১৯৪৮ সালে তিনি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে যোগ দেন। ১৯৭৩ সালে চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর বেশকিছু বছর হলি ফ্যামিলি রেডক্রিসেন্ট হাসপাতালে কনসালটেন্ট হিসেবে চিকিৎসা সেবা দেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৯
এমএএম/আরবি/