সেসময় ব্রাজিলের ওষুধপণ্যের বাজারের আয়তন ৩৯ থেকে ৪৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। বর্তমানে ব্রাজিল প্রতিবছর প্রায় ৭ বিলিয়ন ডলারের ওষুধপণ্য আমদানি করে।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) ব্রাজিল দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
ব্রাজিল দূতাবাসের উদ্যোগে বাংলাদেশের একটি ফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিনিধিদল ১৬-২২ নভেম্বর ব্রাজিল সফর করে। বাংলাদেশ ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল ডা. মো. মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে এ প্রতিনিধিদলে বাংলাদেশ ওষুধশিল্প সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও হাডসন ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম শফিউজ্জামানও ছিলেন।
বাংলাদেশের প্রথম সারির ১১টি ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রতিনিধি সফরে অংশ নেন। হাডসন ফার্মাসিউটিক্যালস ছাড়াও ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস, জেনারেল ফার্মাসিউটিক্যালস, নুভিস্তা ফার্মাসিউটিক্যালস, হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, এমিকো ল্যাবরেটরিজ, ডেল্টা ফার্মা, জেসন ফার্মাসিউটিক্যালস, ফার্মিক ল্যাবরেটরিজ, বেক্সিমকো ফার্মা ও এসিআই হেলথ কেয়ারের কর্মকর্তারা ব্রাজিলে প্রথমবার সফরে আসা এই প্রতিনিধিদলে অংশ নেন।
ব্রাজিলে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জুলফিকার রহমান ফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিনিধিদলের সফর সফল করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেন। সফরকালে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল ব্রাসিলিয়ায় ব্রাজিলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনায় মিলিত হন। ব্রাজিল সরকার বাধ্যতামূলকভাবে সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করে। সে কারণে ব্রাজিলে ওষুধপণ্যের সবচেয়ে বড় ক্রেতাও ব্রাজিলের সরকার তথা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
ব্রাজিলের বাজারে প্রবেশের বিষয়ে ব্রাজিলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সব রকমের সহযোগিতারও আশ্বাস দেন।
ব্রাসিলিয়ায় ব্রাজিলের ওষুধপণ্যের রেজিস্ট্রেশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের গুরুত্বপূর্ণ ও সফল আলোচনা হয়। ওষুধপণ্য রেজিস্ট্রেশনের বিষয়ে ব্রাজিলের বিধিবিধান সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত বিধিবিধান আধুনিকীকরণ ও আন্তর্জাতিক বিধির সঙ্গে সামঞ্জস্যের ফলে বাংলাদেশি ওষুধপণ্য কোম্পানিগুলো অপেক্ষাকৃত সহজে বাংলাদেশের ওষুধপণ্য ব্রাজিলে রেজিস্ট্রার করতে পারবে বলে আলোচনায় উঠে আসে।
প্রতিনিধিদল ব্রাজিলের ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্যের বাজার, ব্যবসাপদ্ধতি ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা লাভের জন্য ব্রাজিলের বাণিজ্যনগরী সাও-পাওলোতে তিনটি ফার্মাসিউটিক্যাল বাণিজ্যিক সংগঠনের সঙ্গেও বিস্তারিত ও পুঙ্খানুপুঙ্খ আলোচনা করেন।
প্রতিনিধিদলের সব সদস্যই ব্রাজিলে ওষুধপণ্যের রেজিস্ট্রেশন, রপ্তানি, বাজারজাতকরণ ইত্যাদি সার্বিক বিষয়ে সম্যক ধারণা লাভ করেছেন। আশা করা যাচ্ছে, আগামী পাঁচ থেকে দশ বছরে বাংলাদেশ প্রায় এক বিলিয়ন ডলারের বাংলাদেশি ওষুধপণ্য ব্রাজিলে রপ্তানি করতে পারবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৯
টিআর/এএ