শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) গণস্বাস্থ্য ডায়ালাইসিস সেন্টারের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র আন্তর্জাতিক নেফ্রোলজি সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কিডনি বিভাগের প্রাক্তন প্রধান অধ্যাপক ডা. মতিউর রহমান বলেন, বাংলাদেশে জাতীয় পর্যায়ে ডায়ালাইসিস নেওয়া বিকল কিডনি রোগীদের তালিকা তৈরি করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স অ্যান্ড সার্জনসের সভাপতি ডা. কাজী দীন মোহাম্মদ বলেন, অতীতে ডায়ালাইসিস ব্যবস্থা অনেক জটিল ও কষ্টকর ছিল। কিন্তু গত কয়েক শতকে প্রযুক্তির ধারাবাহিক উন্নয়নের ধারায় ডায়ালাইসিস ব্যবস্থা অনেকটা সহজতর হয়েছে। কিন্তু তারপরও এটি অনেক ব্যয়বহুল। অন্যদিকে সাশ্রয়ী হলেও নানা জটিলতায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক কিডনি সংযোজন হচ্ছে না।
আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান ও গণস্বাস্থ্য ডায়ালাইসিস সেন্টারের প্রধান অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মামুন মোস্তাফীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- প্রধানমন্ত্রীর সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি অব নেফ্রোলজির (আইএসএন) সভাপতি অধ্যাপক ডা. বিবেকানন্দ ঝাঁ, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে চিকিৎসা সেবায় অসামান্য অবদানের জন্য গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিক্যাল কলেজের ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আনোয়ারুল হাফিজ, নাক, কান, গলা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ নুরুল আমিন, চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেন এবং কিডনি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রফিকুল আলমকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র স্বর্ণপদক দেওয়া হয়।
দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনে দেশ-বিদেশের প্রায় দুইশ’র বেশি কিডনি বিশেষজ্ঞ, নার্স, বায়োমেডিক্যাল প্রকৌশলী অংশ নেন। এতে কিডনি রোগের আধুনিক চিকিৎসা, হেমোডায়ালাইসিস, কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট ইত্যাদি বিষয়ে গবেষণাপত্র উপস্থাপনা করা হয় এবং কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৯
এমএএম/আরবি/