ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

দেশে বর্তমানে এইডস রোগীর সংখ্যা ১৩ হাজার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০১৯
দেশে বর্তমানে এইডস রোগীর সংখ্যা ১৩ হাজার এইডস

ঢাকা: জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশে বর্তমানে এইচআইভি/ এইডস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় ১৩ হাজার। এসব রোগীর মধ্যে এপর্যন্ত সনাক্ত হয়ে চিকিৎসার আওতায় এসেছে মাত্র ৬ হাজার ৬০৬ জন। এখনো সনাক্তের বাইরে রয়ে গেছে প্রায় ৭ হাজার।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এইচআইভি/এইডস সংক্রমণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কম ঝুকিপূর্ণ দেশ। এখনো পর্যন্ত সাধারণ জনগনের মধ্যে সংক্রমণের হার শুন্য দশমিক ০১ ভাগের নিচে।

এছাড়া ঝুকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী যেমন শিরায় মাদক গ্রহণকারী, যৌনকর্মী, সমকামী ও হিজড়াদের(তৃতীয় লিঙ্গ) মধ্যে সংক্রমণের হার ৩ দশমিক ৯ শতাংশ।

এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদফতরের টিবি-লেপ্রোসি ও এইডস/এসটিডি প্রোগ্রামের লাইন ডাইরেক্টর অধ্যাপক ডা. শামিউল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, বিভিন্ন তথ্য উপাত্তে দেখা গেছে, গত এক বছর নতুন ভাবে এইচআইভি সংক্রমণ হতে পারে সর্বোচ্চ ৯০০ জনের মতো। তবে মৃতের সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় কমে এসেছে। তিনি বলেন, এ সংক্রান্ত চিকিৎসা-সেবা এনজিও থেকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর হওয়ায় রোগীরা বিনামূল্যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে। ফলে মৃত্যুর সংখ্যা কমে এসেছে।

এইডস/এসটিডি কর্মসূচি সম্প্রতি ইউএন এইডসের ৯০-৯০-৯০ লক্ষ্যমাত্রা গ্রহণ করেছে। যার অর্থ সম্ভাব্য ২০২০ সালের মধ্যে এইচআইভি আক্রান্তদের ৯০ শতাংশকে সনাক্তের আওতায় আনা। সনাক্তকৃতদের মধ্যে ৯০ শতাংশকে চিকিৎসা সেবার আওতায় অন্তর্ভূক্ত করা এবং চিকিৎসা সেবায় থাকা ৯০ শতাংশের ভাইরাসের মাত্রা নিয়ন্ত্রিত রাখা।

নির্ধারিত সময়ে ইউএন এইডসের ৯০-৯০-৯০ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে কিনা জানতে চাইলে টিবি-লেপ্রোসি ও এইডস/এসটিডি প্রোগ্রামের লাইন ডাইরেক্টর অধ্যাপক ডা. শামিউল ইসলাম বলেন, এইচআইভি আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবা পর্যাপ্ত হলেও ভাইরাল অপর্যাপ্ত। দেশে শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাইরাল লোড টেস্টিং হয়। তবে এএপি সম্প্রতি জিন এক্সপার্ট মেশিন ব্যবহারের মাধ্যমে ভাইরাল লোড টেস্টিং এর পরিকল্পনা নিয়েছে। যেহেতু এই মেশিনটি ইতিমধ্যে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত পৌঁছে গেছে, তাই দ্রত সময়ে অন্যদেরও সনাক্তের আওতায় আনা সম্ভব হবে।  

এদিকে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ০১ ডিসেম্বর বাংলাদেশেও বিশ্ব এইডস দবিস পালিত হচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাণীতে তিনি বলেন, দেশে এইচআইভি সংক্রমণের হার ০ দশমিক শুণ্য ১ শতাংশের নীচে। এই হার শুণ্যের কোটায় নামিয়ে আনার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, ২০৩০ এর মধ্যে এইডস নির্মূলে জাতিসংঘের কাছে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

এইডস প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধি, এইচআইভি ভাইরাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার প্রকাশ ও আক্রান্তদের প্রতি সংহতি প্রকাশের লক্ষ্যে ১৯৮৮ সাল থেকে এ দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। এ উপলক্ষে ঢাকায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির পাশাপাশি দেশের প্রতিটি জেলা, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে দিনব্যাপী কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।  

এ বছরের দিবসটির প্রতিপাদ্য হলো ‘এইডস নির্মূলে প্রয়োজন, জনগণের অংশগ্রহণ’। প্রতিটি জেলায় সিভিল সার্জন ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকদের নেতৃত্বে দিবসটির তাৎপর্য ব্যাখা পূর্বক আলোচনা সভা ও ৠালি করা হবে। এদিকে ঢাকায় সকাল ১১টায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনসস্টিটিউশন মিলনায়তনে।


বাংলাদেশ সময়: ০২৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৯
এমএএম/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।