এদিকে কাজ শেষ করার আগেই উদ্বোধন করা হয়েছে হাসপাতালটি। গত বছরের ২৭ অক্টোবর বরগুনার তালতলীতে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সভায় এ জেলায় ২৭টি প্রকল্প উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কাজ বন্ধের ব্যাপারে বরগুনা গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তারা অভিযোগ করে বাংলানিউজকে বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণে নির্মাণ কাজ এখনো শেষ হয়নি। তাছাড়া এ পর্যন্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ৩১ কোটি চার লাখ টাকা তুলে নিয়েছে।
ওই এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপক জিয়াউদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, এখন পর্যন্ত ৯৯ দশমিক ৫০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। গত বছরের জুন মাসে সর্বশেষ কাজের বিল দেওয়া হয়েছে। এরপর আর বিল দেওয়া হয়নি। বর্তমানে অর্থাভাবে কাজ বন্ধ রয়েছে। বরাদ্দ পেলে কাজ শুরু হবে। অর্থ বরাদ্দ পেলে ডিসেম্বর মাসেই ভবনটির কাজ শেষ করাসহ হাসপাতাল ভবন কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তবে আরও ৫০ লাখ টাকা বিল পেলে এ কাজ দ্রুত শেষ করতে পারবো।
বরগুনা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সোহরাব হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, হাসপাতালটিতে নির্ধারিত শয্যার চেয়ে দ্বিগুণ রোগী ভর্তি থাকেন। এসব রোগীকে হাসপাতালে মেঝেতে চিকিৎসা সেবা নিতে হয়। ২৫০ শয্যার হাসপাতাল ভবন চালু হলে সমস্যা থাকবে না।
তিনি আরও বলেন, হাসপাতাল ভবন নির্মাণ করে আমাদের কাছে হস্তান্তরের জন্য বেশ কয়েকবার ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে তাগিদ দিয়েছি। কিন্তু তারা হস্তান্তরে দেরি করছে। যার কারণে শয্যা সংকটের কারণে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নতুন ভবনের উত্তর পাশে পুরোনো হাসপাতাল ভবনের সঙ্গে চলাচল করার পথের কাজ করানো হচ্ছে। নতুন ভবনের ভেতরের দরজা-জানালা ও বৈদ্যুতিক সংযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) লাগানো হয়নি।
বরগুনার কয়েকজন সচেতন নাগরিক জানান, উদ্বোধনের এক বছর পরও হাসপাতাল চালু না হওয়ায় হতাশ জেলাবাসী। হাসপাতালটির নির্মাণের শুরু থেকেই গড়িমসি করছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।
গণপূর্ত অধিদপ্তর বরগুনা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাজিদুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমি এখানে নতুন এসেছি। তবে জানাতে পেরেছি অর্থ সংকটের কারণে নির্ধারিত সময়ে শেষ করা যায়নি হাসপাতাল ভবনের নির্মাণকাজ। কিন্তু ভবনটি নিমার্ণে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ৩১ কোটি ৪ লাখ টাকার বিল দেওয়া হয়েছে
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৯
এসআরএস