দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের পাশাপাশি ঠাকুরগাঁওয়েও শীত পড়েছে। তবে তীব্রতা বেশি নয়।
হাসপাতালে যে তিন নবজাতক মারা গেছে, তাদের বাড়ি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চিলারং ইউনিয়ন, গড়েয়া ইউনিয়ন ও ভাউলার হাটে।
এদিকে, হাসপাতালে ভর্তি শিশুদের অভিভাবকের অভিযোগ, ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে শিশুরা নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। হাসপাতালটিতে সুচিকিৎসার আশায় ভর্তি করা হলেও সেটা মিলছে না।
বোদা থেকে আসা অভিভাবক রমেশ বাংলানিউজকে বলেন, আমার ছেলে সন্তানকে নিয়ে আমি গত তিনদিন ধরে হাসপাতালটিতে ভর্তি আছি। এখন পর্যন্ত একটি বেড পাইনি। হাসপাতালের মেঝেতে থাকতে হচ্ছে। এভাবে বাচ্চারা আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এছাড়া আমাদের বাইরে থেকে ওষুধ কিনতে হচ্ছে। সরকারি ব্যবস্থাপনায় হাসপাতালে কোনো ওষুধ পাচ্ছি না। আমাদের যদি ওষুধ কেনার সামর্থ্য থাকতো, তাহলে কী আমরা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হতাম। টাকার অভাবে ওষুধ কিনতে পারব না বিধায় সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এবং কষ্ট করে থাকা। টাকা থাকলে তো আমরা ক্লিনিকে ভর্তি হয়ে বাচ্চাদের চিকিৎসা করাতাম।
অপরদিকে, এই সময়ে শিশু ও বৃদ্ধদের ভারী কাপড় পরতে ও বাইরে বেশি বের না হতে পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
ঠাকুরগাঁও সদর হাসপালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. শাহাজান নেওয়াজ বাংলানিউজকে বলেন, দুইটি নবজাতক সময় না হওয়ার আগেই জন্ম নেওয়ার কারণে মারা গেছে। আরেকটি নবজাতকের জন্মগত জটিলতা ছিল। হার্টের সমস্যা ও একলেমশিয়ার কারণে তৃতীয় শিশুটি মারা যায়। জন্মের এক-দেড় ঘণ্টার মধ্যে তিনটি শিশু মারা যায়। এই তিনটি শিশুর মারা যাওয়ার কারণ ঠাণ্ডা নয়। তবে এই সময়ে শিশুদের প্রতি অধিক যত্মশীল হতে হবে, যেন ঠাণ্ডা না লাগে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৯
টিএ