পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) সুপারিশের পর এর আগে গত ১৯ নভেম্বর (মঙ্গলবার) এ বিসিএসে চার হাজার ৪৪৩ জন চিকিৎসককে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। তবে মুক্তিযোদ্ধার কোটা সংশ্লিষ্ট সনদ সংক্রান্ত জটিলতায় নতুন নিয়োগদের নিয়োগে জটিলতা ছিল।
১৬৮ জন চিকিৎসকের মধ্যে সহকারী সার্জন পদে ১৬৫ জন ও সহকারী ডেন্টাল সার্জন পদে ৩ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে মোট চার হাজার ৬১১ জনকে নিয়োগ দেওয়া হলো। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে (www.mopa.gov.bd) নিয়োগপ্রাপ্তদের তালিকা পাওয়া যাবে।
নিয়োগপ্রাপ্তদের আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ক্যাডার নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয় নির্দেশিত বা পদায়িত কার্যালয়ে যোগদানের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। ক্যাডার নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয় থেকে পরবর্তী কোনো নির্দেশ না পেলে উল্লেখিত তারিখেই তিনি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে যোগদান করবেন। নির্ধারিত তারিখে চাকরিতে যোগদান না করলে তিনি চাকরিতে যোগদান করতে সম্মত নন বলে ধরে নেওয়া হবে এবং এ নিয়োগপত্র বাতিল হয়ে যাবে।
আদেশে বলা হয়েছে, তাদের লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অথবা নির্ধারিত প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হবে। তাদের দুই বছর শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করতে হবে। শিক্ষানবিশকালে যদি তিনি চাকরিতে বহাল থাকার অনুপোযোগী বলে বিবেচিত হন, তবে কোনো কারণ দর্শানো ছাড়াই তাকে চাকরি থেকে অপসারণ করা যাবে।
তিনি যদি কোনো বিদেশি নাগরিককে বিয়ে করে থাকেন অথবা বিয়ে করার জন্য অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়ে থাকেন তাহলে এ নিয়োগপত্র বাতিল হবে।
২০১৮ সালের ৮ এপ্রিল বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারে সহকারী সার্জন পদে চার হাজার ৫৪২ জন এবং সহকারী ডেন্টাল সার্জন পদে ২৫০ জনকে নিয়োগের জন্য ৩৯তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৯
এমআইএইচ/ওএইচ/