কুষ্টিয়া সদর উপজেলার এমন ৩৯ জনের চোখের আলো ফিরিয়ে দিয়েছে বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতাল ও রিসার্চ সেন্টার।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত হাসপাতালটির বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এ অপারেশন সম্পন্ন করেন।
ডা. মো. সালেহ আহমেদর নেতৃত্বে অপারেশন দলে ছিলেন ডা. আবুল কালাম আজাদ ও ডা. রুবিনা আখতার।
অপারেশনের জন্য মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) এসব রোগীকে বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতাল ও রিসার্চ সেন্টারে আনা হয়। অপারেশন শেষে একদিন বিশ্রামের পর বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) তাদের বাড়িতে পাঠানো হবে।
বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতাল ও রিসার্চ সেন্টার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হরিনারায়ণপুরের দোয়ারকা দাস আগরওয়ালা মহিলা কলেজে চলতি বছরের ১৯ নভেম্বর চক্ষু শিবিরের আয়োজন করেছিল ভিশন কেয়ার ফাউন্ডেশন, বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতাল ও রিসার্চ সেন্টার এবং দোয়ারকা দাস ওয়েলফেয়ার সোসাইটি। আয়োজকরা জানান, হরিনারায়ণপুরের ১৩২০ জন রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ছানি ও অন্যান্য অপারেশনের জন্য ২৮২ জনকে নির্বাচিত করা হয়। সেখান থেকে প্রথম ব্যাচে ৩৯ জনের চোখ অপারেশন করা হয়েছে।
এদের মধ্যে ছানি অপারেশন করা হয়েছে ৩৭ জনের। একজনের করা হয়েছে নেত্রনালী অপারেশন। আরেকজনের চোখের মনির পাশে মাংস বৃদ্ধি পাওয়ায় অপারেশন করা হয়েছে।
৩৯ জন রোগীর মধ্যে ২৩ জন পুরুষ ও ১৬ জন নারী। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে বাকিদের অপারেশন সম্পন্ন করা হবে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, গরিব রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দেওয়া কার্যক্রমের অংশ হিসেবে প্রতিমাসে সারাদেশে মাঠপর্যায়ে ফ্রি চক্ষু ক্যাম্প পরিচালনা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ঢাকার বাইরে বেশকিছু এলাকায় চক্ষু ক্যাম্প করে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্য থেকে অপারেশনযোগ্য রোগীদের ঢাকায় বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতালে এনে চোখের আলো ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বিনামূল্যে।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৯
এসই/টিএ