আগামী ১১ জানুয়ারি রাজশাহীতে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের প্রথম রাউন্ড অনুষ্ঠিত হবে। ওই দিন সকাল ৮টা থেকে একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কার্যক্রম চলবে।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের সভাকক্ষে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন (প্রথম রাউন্ড) বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিতকরণ এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় রাজশাহী সিভিল সার্জন ডা. এনামুল হক এসব তথ্য জানান।
এই সময়ের মধ্যেও যারা শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়াতে পারবেন না তারা সিটি করপোরেশন এলাকায় বসবাস করলে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ে গিয়ে খাওয়াতে পারবেন। এজন্য রাত ৮টা পর্যন্ত সেখানে স্বাস্থ্যকর্মীরা উপস্থিত থাকবেন। তবে জেলার কোনো উপজেলা, পৌরসভা বা ইউনিয়ন কার্যালয়ে গিয়ে রাত ৮টা পর্যন্ত ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর সুযোগ পাবেন না বলেও জানানো হয়।
সভায় জানানো হয়, অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব দূর করতে এবং শিশু মৃত্যু প্রতিরোধে এবছরও জেলাপর্যায়ে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। প্রথম রাউন্ডে রাজশাহী জেলার মোট এক হাজার ৭৪৪টি কেন্দ্রে দুই লাখ ৮৮ হাজার ৬২০ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এর মধ্যে ছয় মাস থেকে ১১ মাস বয়সী ২৮ হাজার ৬১২ জন শিশুকে নীলরঙের ক্যাপসুল (এক লাখ আইইউ) এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ২ লাখ ৬০ হাজার ৮ জন শিশুকে লালরঙের ক্যাপসুল (দুই লাখ আইইউ) খাওয়ানো হবে। আর কোনোক্রমেই ছয় মাসের নিচে এবং পাঁচ বছরের ওপরে কোনো শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে না বলেও সভায় উল্লেখ করা হয়।
রাজশাহী সিভিল সার্জন ডা. এনামুল হক বলেন, ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল শিশুর শারীরিক বিকাশে সাহায্য করে। শিশুর অন্ধত্ব প্রতিরোধ করে এবং শিশু মৃত্যুর হারকে কমিয়ে আনে। তাই মায়েদের সচেতন হতে হবে যেন কোনো শিশুই ক্যাপসুল খাওয়া থেকে বাদ না পড়ে। তবে মনে রাখতে হবে অসুস্থ্য শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়াবেন না। এছাড়া ভরা পেটে এ ক্যাপসুল খাওয়ালে কোনো অসুবিধা হয় না।
সভায় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস বিষয়ক পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন- ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. কামরুল হাসান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা নিউট্রিশন প্রোগ্রামের সমন্বয়ক নাজমুল হক ও জেলা ইপিআই কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০২০
এসএস/এএটি