বৃহস্পতিবার (০৯ জানুয়ারি) দুপুরে খুলনার স্কুল হেলথ ক্লিনিকের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের ওরিয়েন্টেশন কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়। আগামী ১১ জানুয়ারি (শনিবার) দেশব্যাপী ছয় মাস থেকে পাঁচ বছর বয়সী সব শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খওয়ানো হবে।
খুলনার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. সাইদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপ-প্রধান তথ্য অফিসার ম. জাভেদ ইকবাল, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মামুন রেজা, শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মো. শরাফত আলী প্রমুখ। কর্মশালায় সরকারি কর্মকর্তা, ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা অংশগ্রহণ করেন।
ডেপুটি সিভিল সার্জন বলেন, সকাল ৮টা থেকে একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে এবং এর সঙ্গে প্রচার করা হবে স্বাস্থ্যবার্তাগুলো। এছাড়া স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রের পাশাপাশি রেলস্টেশন, বাস টার্মিনাল, ফেরিঘাট, লঞ্চঘাটসহ বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। ক্যাপসুল খালি পেটে খাওয়ানো যাবে না। এতে সাধারণত কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। ওইদিন সারাদেশে জাতীয় ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন এর মাধ্যমে ৬-১১ মাস বয়সী সব শিশুকে একটি করে নিল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী সব শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
জনজীবনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে এমন কোনো সংবাদ পরিবেশন না করা এবং জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন সফল ও জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার জন্য সাংবাদিকদের সহায়তা চেয়েছেন সভাপতি।
ওরিয়েন্টেশনে দেওয়া তথ্যমতে, সিটি করপোরেশনের ৩১টি ওয়ার্ডে কেন্দ্রের সংখ্যা সাতশত ১০টি, মোবাইল টিম ৮০টি, এনজিও পরিচালিত কেন্দ্র ৫০টি, ভলেন্টিয়ার (ওয়ার্ড ভিত্তিক) এক হাজার একশত ৬০ জন, মোট ভলেন্টিয়ার এক হাজার চারশত ২০ জন এবং সুপারভাইজার ৬২ জন।
খুলনা জেলার নয়টি উপজেলা ও দুইটি পৌরসভায় মোট ইউনিয়নের সংখ্যা ৬৮টি, ওয়ার্ড সংখ্যা দুইশত চারটি, মোট টিকাদান কেন্দ্র এক হাজার ছয়শত ৪১টি, ভলেন্টিয়ার তিন হাজার দুইশত ৮২ জন এবং মেডিকেল টিমের সংখ্যা একশত ১৬টি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০২০
এমআরএম/জেডএস