চীনে এরইমধ্যে এ ভাইরাসের সংক্রমণে মারা গেছে ৫৬ জন। আক্রান্ত হয়েছেন ১৬১০ জন।
চীন থেকে বাংলাদেশে আসা যাত্রীদের মাধ্যমে যাতে করোনা ভাইরাস না ছড়াতে পারে সেজন্য বিমানবন্দরে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে প্রস্তুত বাংলাদেশ।
তারপরও যে কোনো উপায়ে দেশে এ ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে। তাই আসুন জেনে নেওয়া যাক এ ভাইরাসের লক্ষণ এবং আক্রান্ত হলে করণীয়-
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী করোনা ভাইরাস জুনোটিক। অর্থাত্ এই ভাইরাস পশুর দেহ থেকে মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। তবে সম্প্রতি এই ভাইরাস সিফুড খাওয়ার ফলেই ছড়িয়ে পড়ে বলে মনে করা হচ্ছে। এখন আক্রান্ত মানুষের শরীর থেকেও অন্য মানুষের শরীরে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে। আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি-কাশির সংস্পর্শে এলে বা তার সঙ্গে হাত মেলালেও করোনা ভাইরাস শরীরে বাসা বাঁধতে পারে।
করোনা ভাইরাসের আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ হলো- জ্বর, শ্বাসকষ্ট, কাশি। অসুখ আরও বাড়লে কিডনি পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো, এখনও পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের কোনও ওষুধ বা ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়নি। তাই নিজেকে সাবধান রাখাই শ্রেষ্ঠ উপায়। অসুস্থ কারো কাছাকাছি যাবেন না। বারবার সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার রাখবেন। নোংরা হাত চোখ-মুখে দেবেন না।
আরও সতর্কতার অংশ হিসেবে মুখে মাস্ক ব্যবহার করুন। ময়লা পোশাক এড়িয়ে চলুন। বাসা পরিষ্কার রাখুন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬.২০২০
এজে