রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদফতরের মহাপরিচালক আলম আরা বেগম স্বাক্ষরিত আলাদা ছয়টি অভিযোগনামায় অভিযুক্তদের এ বিষয়ে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি আগামী ১০ কর্মদিবসের মধ্যে তাদের অধিদফতরে আত্মপক্ষ সমর্থনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অভিযুক্তরা হলেন- নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদফতরের উপ-পরিচালক মোসা. শাহানারা খাতুন, সেবা মহাবিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ইসমত আরা পারভিন, ময়মনসিংহ নার্সিং কলেজের নার্সিং ইনস্টাক্টর মো. আবদুল লতিফ, একই প্রতিষ্ঠানের নার্সিং অফিসার মো. রফিকুল ইসলাম, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের নার্সিং সুপারভাইজর নাজমা পারভীন এবং একই প্রতিষ্ঠানের স্টাফ নার্স কামাল পাটওযারী।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদফতরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) আলম আরা বেগম বাংলানিউজকে বলেন, এরা প্রত্যেকেই গত বছরের ২৯ নভেম্বর অধিদফতরে আসেন এবং একটি সভায় মিলিত হন। সভা শেষে অধিদফতরের উপ-পরিচালকের (শিক্ষা) কক্ষে প্রবেশ করে জাতির পিতার বাণী সম্বলিত একটি পোট্রেট উল্টো করে মোবাইলে ধারণ করেন। পরে ২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর একটি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশ করেন। যা পরবর্তীকালে তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।
তিনি বলেন, এ ধরনের কার্যকলাপের মধ্যেমে অধিদফতরের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। এহেন কার্যকলাপ সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ এর বিধি ৩(খ) মোতাবেক অসদাচরণের আওতাভুক্ত অপরাধ।
এই অপরাধের কী শাস্তি হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আত্মপক্ষ সমর্থনের জবাব সন্তোষজনক না হলে বেতন অবনমন, বরখাস্তসহ বিভিন্ন শাস্তি হতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২০
এমএএম/এএ