ঢাকা, রবিবার, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ১২ মে ২০২৪, ০৩ জিলকদ ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

ধূমপান, অপ্রাপ্ত বয়সে শারীরিক সম্পর্কও ক্যান্সারের কারণ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২০
ধূমপান, অপ্রাপ্ত বয়সে শারীরিক সম্পর্কও ক্যান্সারের কারণ

ঢাকা: ক্যান্সারের অন্যতম কারণ ধূমপান ও ১৮ বছরের নিচে শারীরিক সম্পর্ক। ধূমপান ফুসফুসে ক্যান্সারের জন্য দায়ী। অন্যদিকে অপ্রাপ্ত বয়সে শারীরিক সম্পর্কের কারণে জরায়ু মুখে ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। 

সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ব ক্যান্সার দিবস উপলক্ষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) বর্হিবিভাগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন হাসপাতালের রেডিওথেরাপি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়।

ডা. স্বপন বলেন, ছেলেদের সবচেয়ে বেশি ক্যান্সার হয় ফুসফুসে।

এটা প্রায় শতভাগ আসে ধূমপান বা তামাক জাতীয় দ্রব্য থেকে। ধূমপান করলে ১০ অথবা ২০ বছর পরে হোক ফুসফুসে ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। প্রথমে পর্যায়ে বুঝতে পারবেনা না যে আপনার মরণব্যাধি ক্যান্সার হয়েছে। প্রথমে আপনার হাড়ে ব্যাথা থাকবে, কাশি হবে, সঙ্গে রক্ত যেতে পারে। শরীরে ব্যাথা থাকবে। এছাড়া তামাকজাত দ্রব্য সেবনে গলায় ও মুখেও ক্যান্সার দেখা দেয়।  

মেয়েদের ক্যান্সার সচেতনতা প্রসঙ্গে স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সব পরিবারের প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে, মেয়েদের প্রতি খেয়াল রাখা। ১৮ বছরের আগে বিয়ের কথা চিন্তা করা যাবে না। জরায়ু মুখের ক্যান্সার থেকে বাঁচতে হলে মাসিকের বিষয়ে নজর দিতে হবে। সেখানে  ইনফেকশন ধীরে ধীরে ক্যান্সারে পরিণত হয়। এটাকে বলে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস। তাদের সব ধরনের ভ্যাকসিন দিতে হবে।  

‘এছাড়া মেয়েদের ব্রেস্ট ক্যান্সার লক্ষ্য করা যায়। প্রথমে এটাকে কেউ গুরুত্ব দেয় না। এক্ষেত্রে প্রথম দিকে ব্রেস্টে একটা চাকা দেখা দেয়। আস্তে আস্তে তা ক্যান্সারে রূপান্তরিত হয়। এ ব্যাপারে লক্ষ্য রাখতে হবে এবং দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। এক্ষেত্রে নারীদের এগিয়ে আসতে হবে। ’

ক্যান্সার নিরাময় যোগ্য উল্লেখ করে এ চিকিৎসক বলেন, ক্যান্সার একটি অসংক্রামক ব্যধি। এটি নিরাময় সম্ভব। হতাশ হলে চলবে না। প্রথম পর্যায়ে ক্যান্সার শনাক্ত করা গেলে দ্রুত নিরাময় পাওয়া যাবে। আল্ট্রাসনোগ্রাম বা মেমোগ্রাফি করলে দ্রুত শন্তাক্ত করা সম্ভব। সচেতনতাই পারে ক্যান্সার মুক্ত বিশ্ব গড়তে। আল্ট্রাসনোগ্রাম বা মেমোগ্রাফি করলে দ্রুত শনাক্ত করা সম্ভব। সচেতনতাই পারে ক্যান্সার মুক্ত বিশ্ব গড়তে। আমাদের দেশে এখন সহজেই ক্যান্সারের চিকিৎসা হয়। বাইরের দেশে যেতে হয় না। আমাদের হাসপাতালে রেডিও থেরাপি ও কেমো থেরাপির ব্যবস্থা আছে। ঢাকা শহরেই ক্যান্সার চিকিৎসা সহজলভ্য।  

অনুষ্ঠানে ঢামেকের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন বলেন,  আমাদের হাসপাতাল অনেক পুরনো একটি হাসপাতাল। এখানে কেমোথেরাপি ও রেডিওথেরাপি দেওয়া হয়। পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে কোনো অংশে কম নয় আমাদের ক্যান্সারের চিকিৎসা। যদি সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা দেওয়া হয় তাহলে অবশ্যই ক্যান্সার নিরাময় যোগ্য। ক্যান্সারের বিরুদ্ধে অবস্থান যেন র্যা লির মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থাকে, এটা সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে হবে।  

অনুষ্ঠানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২০ 
এজেডএস/এইচজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।