তিনি আরও বলেন, বিশেষ করে সামাজিক গণমাধ্যমে এর উদ্বেজনক প্রসার ঘটছে। এ ধরণের গুজবের পরিণতিতে সাতক্ষীরাতে একজন সন্দেহজনক রোগীর মায়ের দুঃখজনক মৃত্যু ঘটেছে।
বুধবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মহাখালিস্থ আইইডিসিআরের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আইইডিসিআরের প্রিন্সিপাল সাইন্টিফিক অফিসার ড. এএসএম আলমগীর।
তিনি বলেন, গুজবে প্রভাবিত হয়ে কোনো কোনো স্থানে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন-শৃংখলা বাহিনী চীন ও সিঙ্গাপুর ফেরত যাত্রীদের প্রতি জবরদস্তি আচরণ করছে। গুজব এবং জবরদস্তি দুটোই সম্ভাব্য রোগী শনাক্তে বাধার সৃষ্টি করবে এবং সন্দেহজনক রোগীরা তথ্য ও অবস্থান গোপন করবে। এটা nCoV-২০১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্তে জনস্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের চেষ্টাকে হুমকির মুখে ফেলবে। আমরা সংশ্লিষ্ট সকলকে সর্বপ্রথম আইইডিসিআর হটলাইনে যোগাযোগ করে তাদের পরামর্শ অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পুনরায় আহ্বান জানাচ্ছি।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, গত ২৪ ঘন্টায় আইইডিসিআর-এর ভাইরোলজি ল্যাবরেটরিতে সন্দেহজনক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ২ ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষা করে তাদের নমুনাতে nCoV-২০১৯ ভাইরাস পাওয়া যায় নি।
এছাড়া ৩১২ জন উহান ফেরত যাত্রীদের কোয়ারেন্টাইন পরবর্তী আরও ১০ দিন সীমিত চলাচল ও নিজেদের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি অবহিত করতে আইইডিসিআর-এর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
তাদের প্রতি নির্দিষ্ট নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তাদের কেউ কেউ হটলাইনে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সাথে যোগাযোগ করেছেন, নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকেও তাদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে। তাদের সবাই সুস্থ আছেন।
সিঙ্গাপুর পরিস্থিতি নিয়ে অধ্যাপক ডা. সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে প্রেরিত সর্বশেষ খবরে আমরা জানতে পেরেছি যে, মোট ৫ জন বাংলাদেশের নাগরিক nCoV-২০১৯ সংক্রমিত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের মধ্যে ১ জন আইসিইউ-তে আছেন। কোয়ারান্টাইনে আছেন ৫ জন বাংলাদেশের নাগরিক। সিঙ্গাপুরে সর্বমোট ৭৭ জন করোনা রোগী চিকিৎসাধীন। পরীক্ষায় nCoV-২০১৯ সংক্রমণ পাওয়া যায়নি ৯৩৭ জনের, পরীক্ষার ফলাফলের অপেক্ষায় আছেন ১০৩ জন রোগী, এবং সুস্থ হয়ে বাড়ী ফেরত গেছেন ২৪ জন। বাংলাদেশে সিঙ্গাপুরের দূতাবাস থেকেও আমাদেরকে সিঙ্গাপুর পরিস্থিতি সম্পর্কে নিয়মিত অবহিত করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০০৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২০
এমএএম/ইউবি