১৬ ফেব্রুয়ারি (রোববার) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করা হয় শিশুটির। সফল অস্ত্রোপচারের পর এখন হাসপাতালের ওয়ার্ডে রয়েছে শিশুটি।
এর আগে ২৫ জানুয়ারি এসবালিয়া গ্রামের নিজ বাড়িতেই জন্ম নেয় আবদুল্লাহ।
শিশুটির নানী কুলসুম বেগম জানান, শিশুটির অস্বাভাবিকতার কারণে বিভিন্ন হাসপাতালে তাকে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। পরে ২৮ জানুয়ারি তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এখানেই তার অস্ত্রোপচার করা হয়।
আবদুল্লাহর সফল অস্ত্রোপচার হওয়ায় চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানান নানী কুলসুম বেগম।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. আশরাফুল হক কাজলের নেতৃত্বে দীর্ঘ পৌনে চার ঘণ্টায় সফল অস্ত্রোপচার করা হয়।
অধ্যাপক ডা. আশরাফুল হক কাজলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আবদুল্লাহর পেটের ওপর জোড়া লাগানো ছিল আরেকটি অপূর্ণাঙ্গ শিশু। এ শিশুর দু’পা, দু’হাত, শরীরের পেছনের অংশ, পায়খানা-প্রস্রাবের রাস্তা থাকলেও মাথা, মস্তিষ্ক ও বুকের অংশ নেই। এই অপূর্ণাঙ্গ শিশুটি আবদুল্লাহর শরীর থেকে পুষ্টি নিয়ে বড় হচ্ছিল। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এ ধরনের শিশুকে ‘কনজেনিটাল প্যারাসাইটিক টুইন’ বা জোড়া অপূর্ণাঙ্গ যমজ বলা হয়।
ডা. আশরাফুল হক কাজল জানান, অস্ত্রোপচারের পর শিশুটি এখন ভালো আছে। আজ থেকে শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানো হচ্ছে।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন বলেন, অনেক জটিল অপারেশন আমাদের হাসপাতালে সফল ভাবে হয়েছে। আমাদের হাসপাতালে অসাধারণ সব চিকিৎসক রয়েছেন। অসহায় মানুষের সংকটময় সময়ে তারা শক্ত ভাবে পাশে দাঁড়ান। তার একটি প্রমাণ শিশুটির অস্ত্রোপচার।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২০
এজেডএস/এবি