শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে করোনা ভাইরাস ডিজিজ- ২০১৯ (কোভিড-১৯) বৈশ্বিক পরিস্থিতি ও বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট-আতঙ্ক, বাস্তবতা ও করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আলমগীর বলেন, মাস্ক ব্যবহারেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা আছে।
তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস মারতে ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার প্রয়োজন হয়। আমাদের দেশের তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে বেশি তাপমাত্রায় ভাইরাস জীবাণু মারতে যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ জীবাণু একটি থাকলে আবারও ২৪ ঘণ্টা ব্যবধানে তা ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (উন্নয়ন ও পরিকল্পনা) অধ্যাপক ডা. সানিয়া তহমিনা বলেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রামণ হওয়ার পর বিশ্বজুড়ে মাস্কের সংকট দেখা দেয়। দেশে চড়া দামে মাস্ক বিক্রি হচ্ছে। তবে আমাদের অনেকেই নিয়ম মেনে ব্যবহার করছেন না। কথা বলার সময় মাস্ক গলায় নামিয়ে আবারো তা লাগানো হচ্ছে, এতে কোনো কাজে আসবে না, বিপদ ডেকে আনে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাবেক অঞ্চলিক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. মো. মোজাহেরুল হক বলেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে আমরা আশংকার মধ্যে আছি, আতংকের মধ্যে নেই। তবে মুখ, নাক ও চোখের মাধ্যমে করোনা ভাইরাস ছড়াতে পারে। এজন্য এ থেকে রক্ষা পেতে হলে হাত ধোঁয়া ছাড়া এসব স্থানে হাত দেওয়া যাবে না।
ডক্টরস ফর হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম আবু সাঈদের সভাপত্বিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মানবসম্পদ ও গবেষণা উপ-পরিষদের কো-চেয়ারম্যান ডা. সারওয়ার ইবনে সালাম, সঞ্চালনা করেন কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. কাজী রকিবুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. রশিদ ই মাহবুদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২০
ইএআর/জেডএস