রোববার (৮ মার্চ) সকালে রাজধানীর মহাখালীতে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডায়রিয়াল ডিজিজ রিসার্চ, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) সাসাকাওয়া মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন।
তিনি বলেন, বিশ্বে মঙ্গলবার (৩ মার্চ) থেকে বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) পর্যন্ত করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়েছে। গত ১৯ দিনে এ রোগীর সংখ্যা ১০ গুণ বেড়েছে। ইতালিতে কয়েকদিনে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে।
কালাম আজাদ বলেন, দেশে যদি একবার করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। তাহলে দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে। সেজন্য আমাদের প্রস্তুতিও রয়েছে। এ জন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে আমরা চারটি লেভেলে ভাগ করেছি। লেভেল- ১ কে অ্যালার্ট লেভেল বলছি। লেভেল-২ যখন কোনো করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী পাওয়া যাবে। তখন আমাদের কি করতে হবে। কোন পরিকল্পনায় এগুতে হবে সেই বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। লেভেল-৩ এ যদি করোনা ভাইরাস ব্যাপক আকারে দেশের ছড়িয়ে পড়ে তাহলে আমাদের কি করনীয়। লেবেল- ৪ এ সার্বিক পরিস্থিতি কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করবো সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে যদি কোনো দেশ নিজ ইচ্ছায় তথ্য দেয় তখন তারা তথ্য আপডেট করে। আমাদের দেশে গণস্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় একটি ওয়েবসাইট রয়েছে সেখানে প্রতিনিয়তই নতুন নতুন তথ্য সংযোজন করছে তারা। সবশেষ তথ্য অনুয়ায়ী বিশ্বের ১০২টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা ভাইরাস। এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ চার হাজার ৯৪ জন মানুষ। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৬০ হাজার ১৯০ জন। আর মারা গেছেন তিন হাজার ৬০০ জন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫০ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০২০
পিএস/আরআইএস/