এতে সভাপতিত্ব করেন ফেনীর সিভিল সার্জন ডা. মো. সাজ্জাদ হোসেন।
সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষা কর্মকর্তা শাহজালাল মোহন, ইপিআই সুপারিনটেনডেন্ট সিরাজ উদ্দিন, জেলা স্বাস্থ্য আহ্বায়ক দিদারুল আলম ভূঁঞা, চিকিৎসক ও ফেনীতে কর্মরত সাংবাদিকরা।
সভায় জানানো হয়, টিকাদান কর্মসূচি সফল করতে ফেনীর ছয় উপজেলা ও ফেনী পৌরসভায় এক হাজার ৩৫৪টি স্কুলে এক হাজার ১০৫টি অস্থায়ী কেন্দ্রে দুই হাজার ৩০৪ জন টিকাদানকর্মী ও তিন হাজার ৫১০ জন স্বেচ্ছাসেবক কাজ করবে। প্রথম সারির পরিদর্শক থাকবেন ১৫৩ জন। এছাড়া ছয়টি মেডিক্যাল টিম থাকবে।
এছাড়া প্রতিটি উপজেলা ও ইউনিয়নে একটি করে অতিরিক্ত কেন্দ্র থাকবে। যাতে এ টিকাদান কর্মসূচি থেকে কেউ বাদ না পড়ে।
ফেনী জেলায় নয় মাস থেকে শুরু করে ১০ বছরের কমবয়সী তিন লাখ ৩৮ হাজার ৬৭৩ জন শিশু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে স্থায়ী ও অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রে হাম ও রুবেলার টিকা পাবে। কর্মসূচির প্রথম সপ্তাহে বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও মক্তবের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হবে।
সভায় বক্তারা বলেন, হাম ও রুবেলা ভাইরাসজনিত দু’টি মারাত্মক সংক্রামক রোগ। এ দু’টি রোগ সাধারণত একজন আক্রান্ত রোগীর হাঁচি-কাশির মাধ্যমে তার সংস্পর্শে আসা অন্যদের মধ্যে অতি দ্রুত ছড়ায়। শিশু ছাড়াও যেকোনো বয়সের মানুষের হাম ও রুবেলা হতে পারে। তবে শিশুদের মধ্যেই হাম ও রুবেলার প্রকোপ, জটিলতা ও মৃত্যু বেশি দেখা দেয়। হামের জটিলতাগুলোর মধ্যে নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, অপুষ্টি, এনকেফালাইটিস, অন্ধত্ব ও বধিরতা অন্যতম। হাম ও রুবেলা আক্রান্ত হলে শিশুর মৃত্যুও হতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২০
এসএইচডি/আরবি/