এ অবস্থায় জাতিসংঘের শিশু তহবিল-ইউনিসেফ করোনা থেকে নিরাপদ থাকতে ৬টি তথ্য ও পরামর্শ দিয়েছে।
ভিডিওর বলা হয়েছে, আপনি যদি পিতা বা মাতা হয়ে থাকেন, নিশ্চয় আপনার সন্তানের জন্য উদ্বিগ্ন।
১. এ ভাইরাস বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায় না। যদি কেউ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হন, তার সংস্পর্শে গেলেই কেবল কেউ সংক্রমিত হতে পারে তার হাঁচি, কাশি বা স্পর্শের মাধ্যমে।
তাই হাঁচি বা কাশি দিচ্ছে বা জ্বর হয়েছে, এমন লোকজনের কাছ থেকে আপনার শিশুকে অন্তত তিনফুট দূরত্ব বজায় রাখতে বলুন।
২. করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ হলো জ্বর, কাশি এবং শ্বাসকষ্ট। এটা নিউমোনিয়ায় পরিণত হতে পারে। শ্বাস নেওয়া কঠিন হয়ে যেতে পারে। খুব কম ক্ষেত্রে এই রোগ মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। তবে সেটা বয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে।
৩. যেসব সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে তা হলো- সাবান দিয়ে হাত ভালোভাবে ধুতে হবে। অন্তত ২০ সেকেন্ড হাত কচলিয়ে ধুতে হবে। অথবা অ্যালকোহল নির্ভর হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে।
হাঁচি-কাশি দেওয়ার সময় মুখ ঢাকতে হবে। কাপড় বা টিসু না পেলে কনুইয়ের উপরিভাগ দিয়ে মুখ চাপা দিতে হবে। টিসু একবার ব্যবহারের পরই নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হবে।
৪. মাস্ক কি করোনা প্রতিরোধ করে? না। আপনার মধ্যে যদি করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কোনো লক্ষণই না থাকে, তাহলে মাস্ক ব্যবহারের প্রয়োজনই নেই। বার বার হাত ধোয়াই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আপনার যদি হাঁচি কাশি হয়ে থাকে, তাহলে অন্যদের নিরাপত্তার জন্য আপনাকে মাস্ক পরতে হবে।
৫. গর্ভবতী নারীরা কি করোনা থেকে নিরাপদ? গর্ভের সন্তান কি নিরাপদ? গর্ভবতী মায়েদের আরও বেশি সচেতন থাকতে হবে। মা ভাইরাস আক্রান্ত হলে গর্ভের সন্তানের কোনো ক্ষতি হবে কি না তা এখনও জানা যায়নি। কারণ মায়ের কাছ থেকে গর্ভের সন্তান সংক্রমিত হয়েছে, এমন কোনো প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি।
৬. করোনা প্রতিরোধে কোনো ওষুধ আছে কি? না। এখন পর্যন্ত কোনো ওষুধ আবিষ্কার হয়নি। সুতরাং সচেতন থাকা এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাই করোনা থেকে আপনাকে নিরাপদ রাখতে পারে। আপনার পরিবারকেও নিরাপদ রাখতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২০
নিউজ ডেস্ক