গ্লুকোমা সপ্তাহ উপলক্ষে চলতি মাসে ৮ তারিখ থেকে ১৪ মার্চ পর্যন্ত বিনামূল্যে গ্লুকোমা স্ক্রিনিং করার সুযোগ দিয়েছে বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট। উল্লেখিত সময়ের মধ্যে রোগীরা চক্ষু পরীক্ষা করাতে পারবেন কোনো ধরনের অর্থ ছাড়াই।
বুধবার (১১ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত সেমিনারে গ্লুকোমা রোগের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন হসপিটালের চিকিৎসক ডা. তাসরুবা শাহনাজ। তিনি বলেন, সাধারণত গ্লুকোমা চোখের প্রেসার জনিত একটি রোগ। এ রোগের আক্রান্ত ব্যক্তির দৃষ্টিশক্তি ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়। এই রোগে চোখের প্রেসার বেড়ে অপটিক নার্ভকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। ফলে একজন মানুষকে পুরোপুরি অন্ধ করে ফেলতে পারে ওই রোগটি। তাই প্রত্যেকের উচিত নিয়মিত চোখেরপ্রেসার, দৃষ্টিশক্তির পরিসীমা পরিমাপ, অপটিক নার্ভ ও রেটিনার পুরুত্ব মাপা, কর্নিয়ার পুরুত্ব মাপা ও ইউবিএম পরীক্ষা করা।
ডা. তাসরুবা শাহনাজ বলেন, গ্লুকোমা রোগে আক্রান্ত হলে হঠাৎ করে চোখে প্রচণ্ড ব্যথা শুরু হয়। পরে দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ার সঙ্গে মাথাব্যথা ও বমি বমি ভাব হতে পারে। মাঝেমধ্যে চোখে ব্যথা এবং ক্রমান্বয়ে দৃষ্টিশক্তি কমে যেতে পারে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্যথাহীনভাবে উভয় চোখের দৃষ্টিশক্তি ও দৃষ্টির পরিসীমা ধীরে ধীরে কমে যেতে পারে।
সেমিনারে অংশগ্রহণকারীদের গ্লুকোমা সর্ম্পকিত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক প্রফেসর ডা. মো. সালেহ আহমেদ, ডা. প্রফেসর ডা. জাকিয়া খাতুন ও প্রফেসর ডা. এস এম মনোয়ারুল ইসলাম।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক প্রফেসর ডা. এম. এ খালেক।
এর আগে সকালে বিশ্ব গ্লুকোমা সপ্তাহ উপলক্ষে একটি র্যালির আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৬ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২০
এসই/এএটি