বুধবার (১১ মার্চ) বাংলাদেশ শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) শহীদ ডা. মিলন হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানানো হয়। ১২ মার্চ বিশ্ব কিডনি দিবস উপলক্ষে কিডনি ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশন ও কিডনি অ্যাওয়ারনেস মনিটরিং অ্যান্ড প্রিভেনশন সোসাইটির (ক্যাম্পস) উদ্যোগে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে দেশে কিডনি রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত স্টিম সেল থেরাপি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে রেনাল সভাপতি অধ্যাপক ডা. রফিকুল আলম বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে কিডনি রোগ চিকিৎসায় স্টিম সেল এখনো কোনো কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারছে না। সে কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকাসহ বিভিন্ন উন্নত দেশগুলোতে কিডনি রোগের চিকিৎসায় স্টিম সেলকে স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে না।
অধ্যাপক ডা. রফিকুল আলম বলেন, কিডনি রোগের চিকিৎসায় স্টিম সেল কোনো সঠিক পদ্ধতি নয়। এক্ষেত্রে রোগীর আরও ঝুঁকিতে পড়ার আশঙ্কা আছে। এমনকি এতে রোগীর মৃত্যুও হতে পারে। জনসাধারণ যেনো এর দ্বারা প্রতারিত না হয়, সেজন্য সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যাভ্যাস, পরিমিত ব্যায়ামের পাশাপাশি ডাক্তারের পরামর্শ মতো ওষুধ সেবন করলে কিডনি রোগ প্রতিরোধ সম্ভব।
ক্যাম্পস সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম এ সামাদ বাংলানিউজকে জানান, জাপানে ১২ কোটি মানুষের জন্য ১ লাখ ২৫ হাজার কিডনি ডায়ালাইসিস মেশিন রয়েছে। আর আমাদের দেশে ১৭ কোটি মানুষের জন্য আছে এক হাজার নয়শ। এজন্য আমাদের দেশের সবাই সুযোগটা পাচ্ছে না। বিকল্প না থাকায় স্টিম সেলের দিকে ঝুঁকছে। এ পদ্ধতি গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে আমরা সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক মো. নিজাম উদ্দীন চৌধুরী, অধ্যাপক শামীম আহমেদ, মহাসচিব ডা. কেবিএম হাদিউজ্জামান, বিএসএমএমইর নেফ্রোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আছিয়া খানম, কিডনি ফাউন্ডেশনের মহাসচিব অধ্যাপক ডা.মুজিবুর রহমান প্রমুখ।
বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) সুস্থ কিডনি সবার জন্য সর্বত্র-রোগ নির্ণয় ও প্রতিরোধ শীর্ষক প্রতিপাদ্য নিয়ে বিশ্বে কিডনি দিবস পালিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১২ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২০
এসকেবি/এবি