বুধবার (১১ মার্চ) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে রাজধানীর মহাখালীর আইইডিসিআর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সেব্রিনা ফ্লোরা। এ সময় আইইডিসিআর-এর প্রিন্সিপাল সায়েন্টিফিক অফিসার ডা. এএসএম আলমগীরও উপস্থিত ছিলেন।
সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ৩ জনের মধ্যে দু’জনের অবস্থা খুবই ভালো। পরীক্ষার মাধ্যমে বর্তমানে তাদের করোনা নেগেটিভ এসেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী ২৪ ঘণ্টা পর আবার পরীক্ষা করা হলে যদি নেগেটিভ আসে তাহলে দু’জনকে ছেড়ে দেওয়া হবে। বাকি একজনের অবস্থাও ভালো, তবে তার পরীক্ষায় এখনও করোনা পজিটিভ আসছে। এছাড়া বিভিন্ন হাসপাতালে ৮ জনকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। প্রাতিষ্ঠনিকভাবে কোয়ারেন্টাইনে রাখা আছেন চারজন।
‘আমরা স্থানীয়ভাবে কোনো করোনা আক্রান্ত রোগী পাইনি। যে একজনকে পেয়েছি, তিনি বিদেশ থেকে আগত অন্য একজনের সংস্পর্শে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন। যারা বিদেশ থেকে আসছেন, তারা নিজেরাই হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন। তাদের হাসপাতালে আসার দরকার নেই। এছাড়া কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে, কোন ধরনের রোগীকে কোন হাসপাতালে রাখা যাবে সে ব্যাপারে আমরা সিন্ধান্ত নিয়ে রেখেছি। সবাইকে হাসপাতালে রাখার প্রয়োজন নেই। বাড়িতে রেখেও চিকিৎসা সেবা দেওয়া যাবে। ’
মাস্ক পরার বিষয়ে সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, সবার মাস্ক পরার দরকার নেই। তবে যাদের মধ্যে করোনা ভাইরোসের লক্ষণ প্রকাশ পাবে তারা ও আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার সঙ্গে যারা জড়িত তারা মাস্ক পরবেন।
এসময় করোনা প্রতিরোধে সতর্কতা হিসেবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা প্রয়োজন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার প্রয়োজন নাই। কারণ, আমদের দেশে স্থানীয়ভাবে এখনও আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়নি। বিদেশিরা, যারা দেশে এসেছেন, তারা নিজেরা নিজেদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখবেন। তাদের সঙ্গে কথা বলা বা যোগাযোগের ক্ষেত্রে অন্যরা ১ মিটার দূরত্ব বজায়ে রাখবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২০
পিএস/এইচজে