তিনি বলেন, করোনা আক্রান্ত তিনজন মোটামুটি সুস্থ। তাদের যে কোনোদিন ছেড়ে দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে আসন্ন জাতীয় হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইন ২০২০ নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের বিমানবন্দরে স্ক্যানারের ঘাটতি দেখা দিয়েছিল, সেটা পূরণ হয়েছে। আমরা দুই মাস আগেই পাঁচটি স্ক্যানার অর্ডার দিয়েছিলাম, সেটা গত সপ্তাহে হাতে পেয়েছি। বৃহস্পতিবার সামিট গ্রুপ পাঁচটি দিয়েছে। ফলে বর্তমানে স্ক্যানার নিয়ে সমস্যা নেই। বিমানবন্দরে দু’টি স্ক্যানার দু’বার যাত্রীরা ভেঙে ফেলেছে, দুবারই মেরামত করতে হয়েছে।
তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের কোনো ওষুধ বা ভ্যাকসিন নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, করোনা প্রতিরোধের সব থেকে ভালো উপায় হলো আইসোলেটেড করে রাখা। বা রোগীকে আলাদা করে রাখা। আমরা তিনটি কমিটি করেছি। তা দিয়ে জেলা পর্যায়েও আমাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যে কোথাও কোনো রোগী দেখা দিলে বা বিদেশ থেকে কোনো রোগী এলে তাদের ট্র্যাক করছি ও ঘরে কোয়ারেন্টাইন করা হচ্ছে। পাশাপাশি তাদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখছি। তারা যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে তাহলে তাদের নিয়ে আসছি হাসপাতালে। এভাবেই আমাদের কেসগুলো চিহ্নিত হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে নতুন কোনো করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর খবর পাওয়া যায়নি।
স্কুলে সাবান ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার সরবরাহ করা হবে কিন্তু এখন পর্যন্ত তা করা হয়নি। কারা এগুলো সরবরাহ করবে এমন প্রশ্নের জবাবে জাহিদ মালেক বলেন, আমরা শুধু স্কুল নিয়েই চিন্তা করি না। আমরা শিল্প কারখানার কথাও চিন্তা করছি। যেখানে অনেক জনসমাগম হয়ে থাকে। আমরা এসব স্থানে স্যানিটাইজার দেওয়ার কথা বলেছি। এটা স্কুল কর্তৃপক্ষরাই দিতে পারে। আর স্যানিটাইজার বলতে হাত ধোয়াকে বুঝিয়েছি।
স্কুলে নির্দেশনা কে দিয়েছে জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্কুলের দেখাশোনা শিক্ষা মন্ত্রণালয় করে থাকে। আমরা শুধু নির্দেশনা বা পরামর্শ দিয়ে থাকি। আমরা আবারও চিঠি লিখবো। যেখানে যেটা প্রয়োজন বলে মনে হচ্ছে, সেখানে সেটা করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, এ ভাইরাস সম্পর্কে করো জানা ছিল না। এর প্রতিক্রিয়া কী কেউ জানে না। যেখানে ইউরোপ আমেরিকা আটকাতে পারেনি। সেখানে বাংলাদেশ দুই মাস আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়েছে। এখন পর্যন্ত দেশ নিরাপদে আছে। দোয়া করি যাতে সবার সহযোগিতা দেশ যাতে নিরাপদে থাকে।
হাসপাতালগুলোকে কোনো সার্ভে করা বা নিউমোনিয়া হলে করোনার টেস্ট হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জ্বর, সর্দি, কাশি নিয়ে যারা আসছে তাদের আমরা হাসপাতালে ভর্তি করছি। যাদের প্রয়োজন মনে হচ্ছে তাদের পরীক্ষা করছি করোনা আছে কিনা। পরীক্ষা করে দেখছি, যেখানে যখন প্রয়োজন হচ্ছে সেখানে টেস্ট দিচ্ছি।
তিনি বলেন, আমরা নির্দেশ দিচ্ছি চিটাগং, কক্সবাজারে টেস্টিং সুবিধা চালু করার। এছাড়া যেসব স্থানে টেস্টিং সুবিধা আছে সবগুলোতেই চালু হয়ে যাবে।
বিমানবন্দরে চারটি হেলপডেস্ক বসানো হলেও সেটা পর্যাপ্ত কিনা জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জনবল কখন পর্যান্ত হবে এটা আমরা জানি না। আমরা বিমানবন্দরে ১০ জন ডাক্তার ও ৩০ জন নার্স দিয়েছি। দুই ডেস্ক থেকে চারটি করা হয়েছে। আমরা যে পদক্ষেপ নিয়েছি, আপাততো তা ভালো। বাড়ানোর প্রয়োজন হলে আরও বাড়াবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫২ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০২০
জিসিজি/আরবি/