‘মুজিববর্ষে দৃঢ় হোক শপথ, থ্যালাসেমিয়া রোগ করবো প্রতিরোধ’- এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দেশের ৬৪টি জেলায়, প্রতিটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগে এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া হাউসে থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধ ও প্রতিকার সম্পর্কে সচেতনতামূলক সেমিনারের আয়োজন করা হবে। প্রতিটি অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহযোগিতায় বিনামূল্যে থ্যালাসেমিয়া স্ক্রিনিং করা হবে।
শুক্রবার (১৩ মার্চ) মুজিববর্ষ উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশনের যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এসব কর্মসূচির কথা জানানো হয়।
বাংলাদেশ থ্যালাসিমিয়া ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মুফতি মুনসুরার রহমানের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ফাউন্ডেশনের পৃষ্ঠপোষক ও সরকারের সাবেক সচিব আকতার মমতাজ, অধ্যাপক ডা. মনজুর মোরশেদ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি ডা. শাহনাজ পারভেজ প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, থ্যালাসিমিয়া রোগ বাংলাদেশে একটি জনস্বাস্থ্য সমস্যা। এই রোগে আক্রান্ত রোগীরা প্রতি মাসে ১ থেকে ২ ব্যাগ রক্ত নিয়ে বেঁচে থাকে। বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্টেশনের মাধ্যমে এ রোগের নিরাময় সম্ভব হলেও তা অত্যন্ত ব্যায়বহুল এবং বোনম্যারো দাতা পাওয়া কষ্টসাধ্য। থ্যালাসেমিয়া রোগের সহজলভ্য কোনো স্থায়ী চিকিৎসা না থাকায় এ রোগ প্রতিরোধের কোনো বিকল্প নেই।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০২১ সাল থেকে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসকে থ্যালাসেমিয়া সচেতনতা দিবস হিসেবে পালন করা হবে। চিকিৎসকদের জন্য একটি আন্তর্জাতিক কনফারেন্স আয়োজন করা হবে এবং দেশের প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজে থ্যালাসেমিয়া নিয়ে় সাইন্টিফিক সেমিনার আয়ে়াজন করা হবে। থ্যালাসেমিয়়া রোগী ও আভিভাবকদের মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা তুলে ধরা এবং এ থেকে উত্তরণের জন্য একটি ওয়ার্কশপের আয়োজন করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২০
ডিএন/এইচএডি/