রোববার (১৫ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ‘করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) আউটব্রেক: চ্যালেঞ্জ অ্যান্ড কনসার্ন ফর বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে তিনি এ অভিমত দেন।
ঢাবি বায়োটেকনোলজি রিসার্চ সেন্টার এই সেমিনারের আয়োজন করে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. বে-নজীর আহমেদ বলেন, ২০০৯ সালে সোয়াইন ফ্লু শুরু হয়েছিল, সেটাতেও বিশ্বে অনেক দেশের মানুষ আক্রান্ত হয়েছিল। তারপরেই ২০১৯-২০২০ সালকে ধরেই এই করোনা ভাইরাস এগোচ্ছে। পূর্বপ্রস্তুতি না থাকার কারণে এটি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ছে। এতে প্রায় পাঁচ হাজারের অধিক মানুষের মৃত্যুু হয়েছে। এটার আপডেট মনে রাখা প্রায়ই অসম্ভব। কত দেশের কতজন আক্রান্ত হচ্ছে, প্রতি মূহূর্তে অবস্থা পরিবর্তিত হচ্ছে। এই ভাইরাসের অর্থনেতিক ক্ষতির প্রভাবটা বেশি হয়ে যাচ্ছে। আমার মনে হচ্ছে এবারের প্রভাবটা সবকিছুকে ছাড়িয়ে যাবে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে কার্যকর গবেষণা পরিচালনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আতঙ্কিত না হয়ে ধৈর্য, সাহসিকতা ও সতর্কতার সঙ্গে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। তিনি সবাইকে সাবান ও স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধোয়ার পরামর্শ দেন এবং জনসমাবেশ এড়িয়ে চলার আহ্বান জানান। এ ব্যাপারে তিনি জনসচেতনতা সৃষ্টির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বায়োটেকনোলজি রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. শরীফ আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে সেমিনারে জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
পরে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাজমুল আহসান সেমিনারের অংশ গ্রহণকারীদের ধন্যবাদ জানান।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২০
এসকেবি/এএটি