সোমবার (১৬ মার্চ) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানায়।
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের খবরে উদ্বিগ্ন হওয়া স্বাভাবিক কিন্তু এর প্রভাব যেন মানসিক স্বাস্থ্যে না পড়ে, সে জন্য পরামর্শ দিয়েছে ডব্লিওএইচও।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রতিষ্ঠান এনজাইটি ইউকের নিকি লিডবেটার বলেন, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলার ভয় এবং অনিশ্চয়তা মেনে নিতে না পারাই এনজাইটি ডিজঅর্ডারের সাধারণ লক্ষণ। স্বাভাবিক ভাবেই যাদের এ সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য বর্তমান পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে পড়েছে।
এ অবস্থায় নিজের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য খবর পড়া কমিয়ে দিন এবং কী পড়ছেন সে বিষয়ে সতর্ক থাকুন।
নিক জানান, সংবাদ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে দূরে থাকার পর তার উদ্বেগ কিছুটা কমেছে।
করোনা ভাইরাস সম্পর্কে অনেক ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়েছে অনলাইনে। তাই বিশ্বাসযোগ্য সূত্র ছাড়া অন্য উৎসের তথ্যে ভরসা করা উচিত হবে না। সরকারি বা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য বিশ্বাস করা উচিত।
টুইটার বা অন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উদ্বেগ সৃষ্টিকারী হ্যাশট্যাগ বা কি-ওয়ার্ড মিউট করে রাখা যায় যেন সেগুলো সামনে না আসে।
অপরদিকে, যাদের অবসেসিভ কমপালসিভ ডিজঅর্ডার (ওসিডি) রয়েছে, তারা এমনিতেই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিয়ে অতিরিক্ত সতর্ক থাকেন। কোভিড-১৯ সংক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য বারবার ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, মুখে হাত না ছোঁয়ানো, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা ইত্যাদি প্রচারের কারণে তারা আরও উদ্বিগ্ন হয়ে উঠতে পারেন। বিশেষ করে নিজ বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে থাকলে, দুশ্চিন্তা করার জন্য হাতে অনেক সময় থাকে।
এ পরিস্থিতিতে অন্য মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে। প্রিয়জনদের খোঁজ রাখতে হবে। সেই সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য বই পড়তে পারেন, মুভি দেখতে পারেন। ঠিক মতো খাবার খাওয়ার পাশাপাশি সুযোগ থাকলে শরীরে রোদ লাগানো ও ব্যায়াম করা দরকার।
মনে রাখতে হবে, আতঙ্কিত বা উদ্বিগ্ন হয়ে দুশ্চিন্তা করে এ মহামারি মোকাবিলা করা যাবে না। উল্টো মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২০
এফএম