এর আগে সোমবার (১৬ মার্চ) মৌলভীবাজারে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার ব্যক্তির সংখ্যা ছিল ৩৪। কিন্তু মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) সে সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়ে দাঁড়ায় ১১৩ জনে।
এর মধ্যে শ্রীমঙ্গল উপজেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ। সম্প্রতি আমেরিকা থেকে শ্রীমঙ্গলে বেড়াতে আসা ১৮ প্রবাসীসহ মোট ৩৩ জন এ উপজেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন।
মৌলভীবাজারের করোনা প্রতিরোধ প্রস্তুতি ও হোম কোয়ারেন্টাইন প্রসঙ্গে জেলার সিভিল সার্জন ডা. তউহীদ আহমদ বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমানে মৌলভীবাজারে ১১৩ প্রবাসীসহ তাদের নিকটাত্মীয়দের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। জননিরাপত্তার স্বার্থে তাদের সবাইকে প্রায় দু’সপ্তাহ অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে থাকতে হবে।
কোন জেলায় কতো জন এমন ব্যবস্থায় আছেন, এ প্রসঙ্গে সিভিল সার্জন জানান, সদর উপজেলায় ১০ জন, শ্রীমঙ্গলে ৩৩, কুলাউড়ায় ২০, জুড়ি উপজেলায় ১০, বড়লেখায় ৭, কমলগঞ্জে ২৬, ও রাজনগর উপজেলায় ৭ জনসহ মোট ১১৩ জন।
এ চিকিৎসক আরও জানান, এনাদের মধ্যে একজনকে করোনা ভাইরাসের আশঙ্কায় পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করা হয়েছিল, ফলাফল নেগেটিভ এসেছে। ওনারা বেশিরভাগই বিদেশ ফেরত। তবে ওনাদের কয়েকজন নিকট আত্মীয়ও কোয়ারেন্টাইনে আছেন, যারা তাদের সংস্পর্শে ছিলেন। কারো মধ্যেই এখনো পর্যন্ত করোনার কোনো লক্ষণ বা উপসর্গ নেই। তারা সবাই মৌলভীবাজার স্বাস্থ্য বিভাগের নিবিড় তদারকির মধ্যে আছেন।
‘মনে রাখতে হবে, করোনা বাংলাদেশের জন্য বাইরে থেকে আসা একটি রোগ। বিদেশ থেকে আগত ব্যক্তিরা যদি কোনোভাবে করোনা ভাইরাসের বাহক হন, তাদের মাধ্যমেই এর সংক্রমণ ঘটার সম্ভাবনা। সুতরাং নিজের আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও সমস্ত দেশের মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা চিন্তা করে বিদেশ থেকে আগত সবাইকে অবশ্যই ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নিয়ম মেনে চলতে হবে। একমাত্র সঠিকভাবে হোম কোয়ারেন্টাইনের মাধ্যমেই এই ভাইরাসের বিস্তার রোধ সম্ভব। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৯ ঘণ্টা, ১৭ মার্চ, ২০১৯
বিবিবি/এইচজে