মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) দুপুরে নতুন করে সদর উপজেলায় ১ ও চরফ্যাশন উপজেলায় ৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়।
এ নিয়ে গত এক সপ্তাহে মোট ১০ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হলো।
ভোলার সিভিল সার্জন ডা. রতন কুমার ঢালী এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা ব্যক্তিরা সবাই বিদেশ ফেরত। তাদের মধ্যে ৪ জনের জ্বর ও সর্দি কাশি রয়েছে, বাকিরা মোটামুটি স্বাভাবিক। তবে আমরা সবাইকে ১৪ দিনের জন্য হোম কোয়ারেন্টাইনে রেখেছি।
এদিকে ‘করোনা ভাইরাস’ প্রতিরোধে প্রস্তুত রয়েছে ভোলার স্বাস্থ্যবিভাগ। ইতোমধ্যে জেলা সদর হাসপাতালসহ প্রত্যেক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৮টি করে ওয়ার্ড (আইসোলেশন) রাখা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে ৮টি মেডিক্যাল টিম। এছাড়াও ৮টি কন্ট্রোল রুম খোলা রয়েছে।
প্রতিটি মেডিক্যাল টিমে একজন চিকিৎসকদের নেতৃত্বে গড়ে ৩-৫ জন কর্মী রাখা হয়েছে। এছাড়াও জরুরি প্রয়োজনে হটলাইন (০১৭১১-১৬৯২৬৫) চালু করা হয়েছে।
সিভিল সার্জন ডা. রতন কুমার ঢালী আরও জানান, করোনা ভাইরাস মোকাবিলা বা প্রতিরোধে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সব হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে চিকিৎসক ও নার্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে আলাদা ২০ বেডের একটি ইউনিট খোলা হয়েছে। এছাড়াও উপজেলা কমপ্লেক্সগুলোতে আলাদা ওয়ার্ডে গড়ে ২/৩টি করে বেড রাখা হয়েছে। এছাড়াও করোনা ভাইরাস রেসপনস টিম গঠন করা হয়েছে’।
তিনি আরও বলেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে ভয় বা আতঙ্কের কিছু নেই, তবে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। বিশেষ করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা, সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, জ্বর-সর্দি-কাশি, গলা ও শরীর ব্যথা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। হ্যান্ডসেক ও কোলাকুলি এবং জনসমাগম থেকে দূরে থাকার পরামর্শের পাশাপাশি ঘর-বাড়ি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
করোনা ভাইরাস সম্পর্কে মানুষকে সচেতন ও পূর্ব প্রস্তুতির বিষয়ে প্রচার-প্রচারণা ও পোস্টার ও মাইকিং কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বিদেশ ফেরত বা বিদেশি নাগরিকদের প্রতি বিশেষ নজরদারি রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২০
আরএ